জিহ্বা ব্যথা নিরাময়ে যা করণীয়

জিহ্বা ব্যথা

জিহ্বা ব্যথা একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি। নানা কারণে জিহ্বা ব্যথা হতে পারে। যেমন-

১. মুখে ঘা হলে

২. অসাবধানবশত জিহ্বায় কামড় লাগলে

৩. অতিরিক্ত গরম কিছু খেলে

৪. মুখে কোনো ধরণের সংক্রমণ হলে

৫. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে

এছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিস, পুষ্টির ঘাটতি, মুখ জ্বলা সিনড্রোম, মুখে ক্যান্সারের মতো গুরুতর কারণেও জিহ্বা ব্যথা দেখা দিতে পারে।

জিহ্বায় সমস্যা হলে ব্যথা ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- খাবারের স্বাদে তারতম্য, জিহ্বা নড়াচাড়ায় সমস্যা, খাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা ইত্যাদি।

জিহ্বার সমস্যা যদি গুরুতর হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া ঘরোয়া উপায়েও জিহ্বার সমস্যা নিরাময়ের চেষ্টা করতে পারেন। যেমন-

১. অনেক সময় মুখের সমস্যার কারণে জিহ্বা ব্যথা হয়। এ কারণে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুলিকুচি করতে পারেন। সাধারণ সমস্যা হলে দিনে তিন থেকে চারবার কুলিকুচি করলে জিহ্বা ব্যথা কমে যাবে।

২. তাৎক্ষণিক জিহ্বা ব্যথা কমানোর জন্য ঠাণ্ডা কিছু খেতে পারেন। ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে বা বরফ লাগালে অনেক সময় ব্যথা কমে যায়।

৩. জিহ্বা ব্যথা হলে নারকেল তেল লাগাতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান সংক্রমণ সারাতে ভূমিকা রাখে।

৪. ফাঙ্গাল সংক্রমণ দূর করতে জিহ্বায় মধু লাগাতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় দিনে তিন-চারবার মধূ লাগালে উপকার পাবেন।

৫. জিহ্বা ব্যথা কমানোর জন্য ক্যামোমিল চা বেশ উপকারী।

৬. জিহ্বা ব্যথা কমানোর আরেকটি কার্যকরী উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা জেল। দিনে কয়েক মিনিটের জন্য সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল জিহ্বায় লাগালে ভালো ফল পাবেন।

এছাড়া জিহ্বায় ব্যথা কমাতে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। এজন্য নিয়মিত ব্রাশ করা ও মুখ পরিস্কার রাখা উচিত। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত এবং অ্যাসিডিটি বাড়ায় এমন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

আরএম-১৮/০৫/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)