শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও যে ৬ কারণে এইডস হতে পারে

শারীরিক সম্পর্ক

এইচআইভি এইডস মরণব্যাধি রোগ।বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক দেশে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মরণব্যাধি এইডসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ।

এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীদের এ মরণব্যাধি থেকে মুক্তি দিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চেষ্টার শেষ নেই। মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে চলছে গবেষণা।

তবে কোনো রোগ থেকে বাঁচতে হলে আগে জানা প্রয়োজন ওই রোগ কেন হয়। যে কোনো রোগের কারণ জানা থাকলে তার প্রতিকার সহজ। আমাদের অনেকের ধারণা শুধু অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক থেকে এইচআইভি এইডস ছড়িয়ে থাকে।জেনে রাখা ভালো শুধু অনৈতিক যৌন সম্পর্ক নয়, আরও অনেক কারণে এই রোগ ছাড়াতে পারে।

এইডসের জন্য দায়ী ‘হিউম্যান ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস’ (এইচআইভি) নামের রেট্রোভাইরাসটি। মানুষের রক্ত ও অন্যান্য দেহরসেই একমাত্র বেঁচে থাকে এই ভাইরাস।

রোগীর দেহ থেকে অন্যের শরীরে ছড়ায় রক্ত ও বীর্যের মাধ্যমে। বীর্যের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় বলেই এই অসুখকে ‘সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, এই ভাইরাস প্রধান কাজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়া। একটা সময় সাধারণ সর্দি-কাশিকেও আটকাতে পারে না শরীর। ফলে ‘অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি সিনড্রোম’ বা এইডসের প্রভাবে মৃত্যু অবধারিত হয়ে ওঠে।

শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও যে ৬ কারণে এইডস হতে পারে-

১. বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। কারণ বর বা কনে কোনো একজনও যদি এই ভাইরাস বাহক হয়, তবে যৌন সম্পর্কের ফলে অপরজনের শরীরে সহজেই প্রবেশ করবে এই রেট্রোভাইরাস।

২. প্রতিবার ইঞ্জেকশন নেয়ার সময় নতুন সিরিঞ্জ ও সূচ ব্যবহার করতে হবে।

৩. এইডস আক্রান্ত রোগীর শরীরে ফোটানো সূচ থেকেও এই অসুখ সংক্রমিত হয়।

৪. অসুখ আক্রান্ত প্রসূতির সন্তানের শরীরেও এইডস হতে পারে।

৫. আধুনিক কিছু ওষুধে এই রোগে রোগীর জীবন কিছুদিন বাড়ানো গেলেও সে সব চিকিৎসা পদ্ধতি মোটেও মধ্যবিত্তের আয়ত্বে নেই।

৬. সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ যৌন জীবন রয়েছে এমন পেশাদারদের ক্ষেত্রে এই অসুখের প্রভাব বেশি থাকে।

৭.মুমূর্ষু অস্থায় রক্তের প্রয়োজন হলে অবশ্যই এইডস পরীক্ষা করে শরীরে রক্ত দিতে হবে।

যে সব লক্ষণে বুঝবেন এইচআইভি-

১.ঘন ঘন জ্বর হ্ওয়া ও এক-দেড় মাস ধরে একটানা জ্বর।

২.জ্বরের সঙ্গে গলায় অস্বাভাবিক ব্যথা হয়। খাবার খেতে ও গিলতে সমস্যা হয়।

৩. ক্রোয়েশিয়ার সংস্থা ‘অ্যাক্ট ডার্মাটোভেনরল’-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৮৮ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই গলায়, মাথায় র‌্যাশ দেখা দেয়। তীব্র প্রদাহ হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ঘাম।

৪. ঘুমের মধ্যেও তীব্র ঘাম হয়। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে বলে অল্পেই বমি ভাব, পেটের সমস্যা দেখা যায়।

কী করবেন?

এ সব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরএম-২০/০৫/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)