জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধে শরীরিক ক্ষতি

জন্ম নিয়ন্ত্রক

বিয়ের পরে নতুন দম্পতি অনেক সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বুঝে উঠতে পারেন না। এ জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কারণ জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি সব নারীরদের শরীরের সঙ্গে মানানসই নাও হতে পারে। অন্য ওষুধের মতো জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়িরও রয়েছে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ‘সিস্টজনীত’ ব্রণ, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমানো ইত্যাদির সারাতে চিকিৎসকরা জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে গবেষণা বলছে, জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ নারীর মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাস ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স রিসার্চ সেন্টারের ‘রেডিওলজি’ বিভাগের অধ্যাপক ডা. লিপটন বলেন, জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি মস্তিষ্কের কাঠামোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়া কার্যক্ষমতায় যে সম্ভব্য সংঘর্ষ ঘটায় তা প্রাথমিক গবেষণায় জোরালো সম্পর্ক পাওয়া যায়।

তাই জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন এই গবেষকরা।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য জানানো হয়েছে।

আসুন জেনে নেই জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ির ক্ষতিকর দিক-

১. জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবনের কারণে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। কারণ এই ওষুধ কাজ করে হরমোনের মাধ্যমে। তাই এগুলো সেবনের কারণে যার ফলাফল হতে পারে অনিয়মিত ও বিলম্বিত ঋতুস্রাব।

২. অনেকেই ওষুধ সেবনের পর বমিভাব অনুভব করেন, এমনকি বমি হতেও পারে, স্তনের স্পর্শকাতরতা বাড়তে পারে, ব্যথা হতে পারে, শরীরের ওজন বাড়তে পারে, দেখা দিতে পারে ‘মুড সুইং’।

৩. মস্তিষ্কের উপরেও জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ির প্রভাব রয়েছে। ২০১৯ সালে রেডিওলজি সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকার ১০৫তম বার্ষিক সম্মেলনে এবিষয়ক এক গবেষণা উপস্থাপন হয়।

এতে মোট ৫০ জন নারীর মস্তিষ্ক ‘স্ক্যান’ করেন গবেষকরা। যাদের মধ্যে ২১ জন নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করছিলেন। যারা জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবন করেছেন তাদের মস্তিষ্কের আশঙ্কাজনক পরিবর্তন লক্ষ করেন গবেষকরা।

৪. গবেষকরা দেখেন, যারা ওষুধ সেবন করছিলেন তাদের মস্তিষ্কের ‘হাইথ্যালামাস’ এর ঘনত্ব আর যারা ওষুধ সেবন করছিলেন না তাদের ‘হাইপোথ্যালামাস’ এর ঘনত্বে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে।

৫.‘হাইপোথ্যালামাস’ হল যৌনক্ষমতা, ঘুম চক্র, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ ও খাওয়ার রুচি ইত্যাদি নিয়্ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু।

তাই যে কোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

আরএম-২১/১৪/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)