দৈনিক এসিভি পানে কী ঘটে শরীরে?

দৈনিক এসিভি

অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের (এসিভি) চমৎকার স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য একে ‘মিরাকেল কিউর’ বলা হয়। মূলত ওজন কমানোর জন্যই এসিভি বহুল পরিচিত। কিন্তু আদতে এসিভি গ্রহণে শরীরে কী ঘটে? আর কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়? এটাই জানানো হয়েছে এই ফিচারে।

এর স্বাদ ও গন্ধে অভ্যস্ততা

এসিভি গ্রহণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো এর কটু ও উগ্র স্বাদ-গন্ধ। তবে নিয়মিত এসিভি গ্রহণ করা হলে একটা সময় পর এর স্বাদ ও গন্ধে অভ্যস্ততা চলে আসে। যারা এখনও এই সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য রয়েছে সহজ একটি টিপস। শুরুর দিকে প্রতি এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ পরিমাণ এসিভি মিশিয়ে পান করতে হবে। এভাবে দৈনিক দুই গ্লাস পানি পান করলে সপ্তাহের মাঝে এসিভির স্বাদ-গন্ধে অভ্যস্ততা চলে আসবে। এরপর সঠিক পরিমাণ অনুযায়ী এসিভি গ্রহণেও সমস্যা হবে না।

দেখা দিতে পারে ক্ষুধামন্দা

এসিভি গ্রহণের প্রধান ও বিশেষ উপকারিতাটি হলো এটা ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিউ ইয়র্কের কার্ডিওলজিস্ট ও ওয়েট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট লুইজা পেট্রে জানান, ভিনেগার শরীরে মেটাবলিক পরিবর্তন নিয়ে আসে, যা ওজন কমাতে কাজ করে। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও জানান, নিয়মিত এসিভি গ্রহণে খাবার গ্রহণের ইচ্ছা ও মাত্রা কমে যায় তুলনামূলক অনেকখানি। যা মেটাবলিজমের পরিবর্তনের সাথে ওজন কমাতে অবদান রাখে।

কমে যাবে পেটের সমস্যা

পরিপাকজনিত সমস্যা কমাতে এসিভি অবাক হওয়ার মতো দারুণ কাজ করে। এতে থাকা প্রিবায়োটিক সমূহ (Prebiotics) পরিপাকতন্ত্রের মাইক্রোঅর্গানিজমের জন্য উপকারী, এছাড়া এসিভি পানে গ্যাসজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার হারও কমে যায় তুলনামূলক অনেকখানি।

বাড়তে পারে খাদ্যের পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা

এসিভি গ্রহণের বহু উপকারিতার মাঝে খুবই দরকারি উপকারিতাটি হলো- গ্রহণকৃত খাদ্য উপাদান থেকে পুষ্টি উপাদান শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে এসিভি। সায়েন্টিফিক জার্নাল বায়োসায়েন্স, বায়ো টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োক্যামিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি অ্যানিমেল স্টাডির তথ্যানুসারে এসিভিতে থাকা উপকারী প্রিবায়োটিক সমূহ পাকস্থলিস্থ ভালো ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী, যা খাদ্য উপাদানের ভিটামিন ও মিনারেল শোষণে ভূমিকা রাখে।

কমে সুইট ক্রেভিং

শুধু ক্ষুধাভাব নয়, মিষ্টি খাবার প্রবণতাকেও কমায় এসিভি। এসিভির অ্যাসিডিক ধর্ম মিষ্টি খাবার ইচ্ছাকে প্রশমিত করে। এছাড়া অনেকে এসিভির সাথে মধু মিশিয়ে পান করে। সেক্ষেত্রে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া হয়ে যায় বলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। নিউ ইয়র্কের একজন রেজিস্টার্ড নার্স রেবেকা পার্ক জানান, এসিভি খুবই স্বল্প ক্যালোরিযুক্ত একটি খাদ্য উপাদান। তবে এটা থেকেও প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আঁশ পাওয়া যাবে। এছাড়া নিয়মিত এসিভি পানে মিষ্টি খাবারের প্রতি আসক্তি কমে যায় তুলনামূলক অনেকখানি।

মুখের বাজে গন্ধের সমস্যা দূর করবে

নিয়মিত এসিভি গ্রহণের আরেকটি দারুণ উপকারিতা হলো, এটা মুখের বাজে গন্ধকে দূর করে। এসিভি মিশ্রিত পানি পানে মুখের ভেতরের বাজে গন্ধ তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং এর অ্যাসিডিক প্রভাব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে জন্মাত বাধাদান করে।

আরএম-১৯/১৪/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)