স্তন ক্যান্সার শনাক্তে নারীদের জন্য জরুরি ‘স্ক্রিনিং’

স্তন ক্যান্সার

স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার রুখতে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন স্ক্রিনিং। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ নেই এমন নারীদের বিভিন্ন পরীক্ষা করার নামই চিকিৎসাবিদ্যায় ‘স্ক্রিনিং’।

প্রাথমিক অবস্থায় যেন স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং চিকিৎসায় তা ভালো হয় তাই স্ক্রিনিং করা হয়। কারণ স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থান ধরা পড়লে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হলে প্রায় ৯৮ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়।

স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্তকরণ অনেকাংশেই সম্ভব। কেবল প্রয়োজন সঠিক ধারণা ও সচেতনতা। স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর কয়েকটি ধাপ রয়েছে।

স্তনের পরীক্ষা- ২০ বছর বা এর বেশি বয়সী নারীদের মাসে একবার স্তন পরীক্ষা করা উচিত। সাধারণত ঋতুস্রাব বন্ধের পরবর্তী সপ্তাহে স্তনের পরীক্ষা করা ভালো। যাদের মাসিক বন্ধ হয়েছে অথবা গর্ভকালীন সময় মাসে নির্ধারিত একটি দিনে স্তন পরীক্ষা করা যেতে পারে।

এক্সরে- এটি একটি সাধারণ স্ক্রিনিং পদ্ধতি। ৪০ বছরের পর প্রতি দুই বছর অন্তর এবং পঞ্চাশ বছরের পর প্রতি বছর নারীদের স্তনের এক্সরে করা উচিত। চল্লিশ বছরের নিচে এক্সরে তেমন কার্যকর নয়।

আলট্রাসনোগ্রাফি- চল্লিশ বছরের কম বয়সী নারীদের জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে।

এমআরআই-এক্সরেতে বোঝা যায় না এমন ক্যান্সার শনাক্ত করা যায় এমআরআই পরীক্ষা করা হয়।

জেনেটিক স্ক্রিনিং-পারিবারিক ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে এমন নারীদের জন্য জেনেটিক স্ক্রিনিং করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশেও জেনেটিক টেস্ট করা হয়।

এসব পরীক্ষার মাধ্যমে চাকা বা পিণ্ড পাওয়া গেলে এফএনএসি বা বায়োপসি করে সঠিক রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, স্তনের যে কোন পরিবর্তনই ক্যান্সার নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাকা বা পিণ্ড সাধারণ হয়। স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়। তাই স্তন ক্যান্সার নিয়ে ভীতি নয়, সবার সচেতনতাই পারে এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে।

আরএম-১৬/১৬/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)