প্রস্রাবে ফেনা হয়? মারাত্মক রোগের লক্ষণ!

প্রস্রাবে

যেকোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাবে সমস্যা দেখা দেয়। নিজের প্রস্রাবের রং দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন শরীর কতটা ভালো রয়েছে? খেয়াল করলে দেখবেন অনেক সময় প্রস্রাবে ফেনা হয়। তবে কেন এমনটা হয়?

এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষই ধারণা করেন, প্রস্রাব দ্রুত বেগে হওয়ার করণেই বোধ হয় এমনটা হয়। যদিও এই বিষয়টি সত্যি! তবে ক্রমাগত প্রস্রাবে ফেনা হওয়া কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধার ফলেই হয়ত এমনটা হচ্ছে! তবে সেক্ষেত্রে ইউরিনে ফেনা হওয়ার সঙ্গে আরো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়-

প্রস্রাবের ফেনা এবং আরো কিছু: কোনো রোগের কারণে যদি প্রস্রাব এই ধরণের বদলায়, তাহলে হাতের তালু, পা এবং মুখ ঘামতে থাকে। সেই সঙ্গে ক্লান্তি, ক্ষুধা কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বমি, ঘুম কমে আসা, প্রস্রাবের গাঢ় রঙের মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়।

ফেনা হওয়ার কারণ কী? 

ব্লাডার থেকে প্রস্রাব দ্রুত বেগে বের হওয়ার ফলে এরকম ফেনা হয়। এছাড়াও শরীরে যখন পানির অভাব দেখা দেয়, তখন প্রথম লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাবে ফেনা দেখা দেয়। তাছাড়া প্রস্রাবে প্রোটিন বা অ্যালবুমিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে এই সমস্যা হয়। আবার কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে এবং স্পার্মের ক্ষরণ ঠিক মতো না হলে এমন সমস্যা হয়।

রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানসমূহ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়ার ফলে কিডনি সুস্থ থাকে। তবে যখন কিডনির ক্ষমতা কমতে থাকে, তখন প্রস্রাবের সঙ্গে বর্জ্য পদার্থের পাশাপাশি প্রোটিনও বের হতে শুরু করে। প্রোটিন বায়ুর সংস্পর্শে এলে ফেনায় পরিণত হয়। তাই টানা কয়েক দিন ধরেই যদি প্রস্রাবে ফেনা হতে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

এই সমস্যাটি কি ভয়াবহ?

শরীরের প্রধান অঙ্গসমূহের মধ্যে কিডনি অন্যতম। তাই এই অঙ্গটি যদি সঠিক ক্রিয়া সম্পাদন না করে তবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য প্রস্রাবে ফেনা হওয়াকে হালকাভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেসব কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সেগুলো হলো- ডায়াবেটিস, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ প্রভৃতি।

আরএম-১৬/২৮/০১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)