যেসব কাজ শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

যেসব কাজ

ক্যান্সার খুব ভয়াবহ একটি রোগ। মরণব্যাধি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে এই রোগ নিয়ে সবাই আতঙ্কে থাকেন। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আপনার কর্মক্ষেত্র থেকে এই রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনি তথ্য। তাদের প্রতিবেদন বলছে, কর্মক্ষেত্রই আপনার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। ওই প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, অন্যান্য পেশার চেয়ে নির্দিষ্ট পেশায় কর্মরত ব্যক্তিরা। যেমন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টদের ক্ষেত্রে ত্বক ও স্তন ক্যান্সারের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আসুন জেনে নিই যেসব কাজ করলে শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

১. নির্মাণ শ্রমিকদের ত্বক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের ক্ষতিকর আলোয় থাকার কারণে তাদের ত্বকের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া মেসোথেলিয়োমা নামক এক ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।

২. রাবার নির্মাতা রাসায়নিক, রাসায়নিক বাষ্প, ধুলা এবং অন্যান্য উপজাত পণ্যগুলোর সংস্পর্শে আসার কারণে রাবার নির্মাতাদের পাকস্থলী, ফুসফুস ও মূত্রাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই শিল্পে কাজ করা ব্যক্তিদের লিউকেমিয়াস ও লিম্ফোমাস হওয়ার ঝুঁকি আছে।

৩. কৃষক একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে যে, কৃষিকাজে কর্মরত নারী ও পুরুষ উভয়েরই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ কীটনাশক, সার এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানগুলো কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়। এসব ব্যবহারের সময় তা শরীরে প্রবেশ করে এবং এসব রাসায়নিকের অত্যধিক এক্সপোজারের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রকোপ যেমন-লিম্ফোমাস, লিউকেইমিয়াস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

৪. হেয়ারস্টাইলিস্ট ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুসারে, চুলের শিল্পে কর্মরত ব্যক্তিরাও ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। কারণ চুলে ব্যবহৃত রঙ এবং রঙে থাকা রাসায়নিকগুলোর দ্বারা বেশি পরিমাণে এক্সপোজড হন তারা।

৫. কর্মরত মানুষেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। যেমন ডিজেল নিষ্কাশন ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এ ছাড়া কয়লাখনি, ইটের খনি ইত্যাদি কাজের প্রক্রিয়া চলাকালীন ফুসফুসে জমা হওয়া ধূলিকণা ফুসফুসের টিস্যুগুলোকে কালো করে দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

আরএম-১৬/২৮/০২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)