করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া-এইচআইভির ওষুধ!

করোনার

এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কার্যকরী হতে পারে বলে দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা।

ব্রিসবেনের কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল দাবি করেছেন, দুটি বিদ্যমান ওষুধ কোভিড-১৯ নিরাময়ে কাজে লেগেছে।

ম্যালেরিয়ার ট্যাবলেট ক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির সমন্বিত ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওষুধ দুটি সংক্রমিত রোগীদের ভাইরাসমুক্ত করেছে বলে দাবি করেছেন তারা।

বিশ্বব্যাপী গবেষকরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ডেভিড প্যাটারসন বলেন, আশা করি, চলতি মাসের (মার্চ) শেষের দিকে এ দুই ওষুধের পরীক্ষায় আরও অনেককে সম্পৃক্ত করতে পারব। প্রাণঘাতী শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় এ দুই ওষুধকে সম্ভাব্য চিকিৎসা ভাবলে ভুল হবে না।

বিষয়টির ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত লোকেদের যখন এইচআইভি দমনের ওষুধ লোপিনাভির/ রিটোনাভির দেওয়া হয়, তখন দেখা যায় রোগীদের শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে ।

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে ৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। অন্যদিকে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ৫১৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ৬,৬৫২।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এতে দেশটির ৮০ হাজার ৮৬০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর তিন হাজার ২১৩ জন মারা গেছেন। এরপর বিশ্বের অন্তত ১১৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।

অন্যদিকে ইরানে করোনাভাইরাসে ১৩ হাজার ৯৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এতে মারা গেছেন ৩৫৪ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৪৭ জন, দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ৮০৯ জন। স্পেনে ৮ হাজার ৭৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৯৭ জন। ফ্রান্সে ৫ হাজার ৪২৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এরমধ্যে ১২৭ জন মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭১৪ জন। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন ৬৮ জন।

আরএম-২২/১৮/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)