জাম খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করি। কারণ জাম অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। ফলের পাশাপাশি এর পাতাও যে কতোটা উপকারী সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। জাম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি অ্যান্টি-ভাইরাস ও প্রদাহনাশক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও এই পাতার রস রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অ্যালার্জি দূর করতে কার্যকরী।
ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের গবেষণা অনুযায়ী জাম ও জাম পাতা দেহে ক্যান্সারবিরোধী কোষ তৈরি করে। এছাড়াও এই পাতায় এমন অনেক অবিশ্বাস্য উপকারিতা রয়েছে যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক জাম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে-
> জাম পাতা দেহে ক্যান্সারবিরোধী কোষ তৈরি করে। এর রসে বায়ো অ্যাক্টিভ ফাইটোক্যামিক্যাল বিদ্যমান, যা লিভারের সমস্যা এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমায়।
> ওজন কমাতে জাম পাতার রস বেশ উপকারী। গরম পানিতে জাম পাতা ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে পানির রং সবুজ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এই পদ্ধতিতে প্রতিদিন সকালে পান করুন।
> একইভাবে জাম পাতার সঙ্গে নিম পাতা ফুটিয়ে পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
> খুব বেশি চুল পড়তে থাকলে কারি পাতার সঙ্গে জাম পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি মুখের ক্ষত সারাতেও কার্যকরী। এটি দাঁতের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
> বর্তমান সময়ের সব থেকে ভয়ানক দুই সমস্যা হলো অতিরিক্ত ওজন আর ডায়াবেটিস। সমাধান পেতে চাইলে জাম পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া সজনে পাতার গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে, আবার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতেও সহায়তা করবে।
আরএম-১৭/১৭/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)