শীতের শুরুতেই সর্দির শঙ্কা থাকলে প্রতিরোধ করার নিয়ম

শীতের

স্বাস্থ্য ডেস্ক: বাতাসে শীতের আমেজ। দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা। কখনও চলছে পাখা, কখনও আবার গায়ে দিতে হচ্ছে চাদর। সর্দি-কাশির মোক্ষম সময় এটি। তাই এই সময়টাতেই থাকতে হবে খুব সচেতন, তা না হলেই লেগে যেতে পারে ঠাণ্ডা।

আর অসুস্থ হয়ে দিনভর বিছানায় পড়ে থাকতে কে ই বা চান! এই জন্যই রইলো সুস্থ থাকার কিছু টিপস। সর্দি লাগার পর চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়াই ভালো। তাই প্রথম যেটি করতে হবে সেটি হল, নিয়মিত হাত ধুতে হবে সাবান পানি দিয়ে। অর্থাৎ, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যাতে ভাইরাস সংক্রমণ না হয়।

সাধারণত শীতকালে পানি পানের মাত্রা কমে যায়। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে পিপাসা কম লাগে, তাই অনেকেই পানি পান করতে ভুলে যান। কিন্তু এমনটা করা যাবে না। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং আমাদের সর্দি বা অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত রাখে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করুন।

এছাড়া তরল গ্রহণের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্যুপ রাখতে পারেন আপনার খাদ্য তালিকায়। স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খান। এটি আপনাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে এবং ফিট থাকতে সাহায্য করবে। জিঙ্ক, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি গ্রহণের মাত্রায় বিশেষ মনোযোগ দিন। এগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশি করে শাক, বাদাম এবং ফলমূল খান।

সর্দি বিরুদ্ধে লড়াই করতে পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের জন্য অপরিহার্য। নিদ্রাহীনতা বা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে অনেক সময় ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। মানবদেহকে সক্রিয় রাখতে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। শরীরচর্চা শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য বা পেশী তৈরির জন্য অপরিহার্য নয়। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ঠান্ডা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

আরএম-০২/১৮/১১