সেহরিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না

সেহরি

শুরু হয়ে গেছে রমজান। রোজার দিন শুরু হয় সেহরি দিয়ে। সূর্যদয়ের আগে সেহরি করে রোজা শুরু করেন রোজাদাররা। সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙেন।

রোজায় যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা হয় এ জন্য রমজানে সেহরিতে কী খাবেন আর কী খাবনে না তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শর্করাজাতীয় খাবার

ভাত, রুটি, আলুতে অনেক বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা হজম হতে অনেক সময় নেয়। কাজ করার শক্তিও জোগায় এ জাতীয় খাবার। তবে অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন, যা বদহজম সৃষ্টি করে।

ফল ও শস্যজাতীয় খাবার

আপেল, কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, অন্যদিকে শস্যজাতীয় খাবার চিকপিস, ওটসেও রয়েছে ফাইবার। এ জাতীয় খাবার পেট ভরা রাখে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। পুষ্টিবিদদের মতে সাহরির সময়ে খাবারে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রোটিন ও কার্বহাইড্রেট থাকা উচিত। আপনি যদি বেশি প্রোটিন বা ফাইবার খেয়ে ফেলেন তাহলে সারাদিন আপনার তৃষ্ণা লাগতে পারে।

দুগ্ধজাত পণ্য এবং চর্বিহীন মাংস থেকে প্রোটিন

দুধ, ডিম, মুরগির মাংস, দই এবং মসুর ডাল আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো থাকবে। পুষ্টিবিদের মতে, খাদ্য তালিকায় সিরিয়াল ও প্রোটিনের সমন্বয় রাখা উচিত। আপনার খাবারে ৬০ থেকে ৮০ গ্রাম প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

কম গ্লাইসেমিক সূচক খাবার

এই ধরণের খাবারগুলো অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এ জাতীয় খাবারগুলো শক্তির উৎস এবং ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। বাদাম,সালাদ ,ফল, স্যুপ খাবার তালিকায় রাখুন।

হাইড্রেটযুক্ত খাবার

সেহেরিতে চা, কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ জাতীয় খাবারে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে এবং সারাদিন তৃষ্ণা লাগে। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার বা পানীয় দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং ক্ষুধা লাগে। তবে খুব বেশি পানিও খাওয়া যাবে না। এর ফলে পেট ফুলে যাওয়া এবং বদহজমের মতো সমস্যা হয়।

ডাবের পানি ইলেকট্রোলাইটের ভালো উৎস। এছাড়া যেসব ফল শরীর ঠাণ্ডা রাখে যেমন তরমুজ, আনারস, কমলা, টমেটো তালিকায় রাখুন।

আরএম-১২/০২/০৪ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)