আচরণ শিখছেন রাজনীতিবিদ!

‘হেট স্পিচ’, অর্থাৎ ঘৃণা ছড়ানোর মতো বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে অস্ট্রিয়ার এক কট্টরপন্থি কাউন্সিলরকে অনলাইনে ভালো আচরণ শেখার একটি বিশেষ কোর্সে অংশ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

ফেসবুকে বর্ণবাদী মন্তব্য করার অভিযোগে অস্ট্রিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর আমস্টেটেনের কাউন্সিলর ব্রুনো ভেবের বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ অস্ট্রিয়ার সরকারি রেলওয়ে কোম্পানি ওইবিবি’র এক বিজ্ঞাপন প্রচারণার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ঐ মন্তব্য করেছিলেন তিনি৷

বিজ্ঞাপনের পোস্টারে উল্লেখ ছিল পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করলে কী কী ছাড় পাওয়া যাবে৷ সেখানে দুই জন পুরুষের ছবি ছিল৷ তাঁদের একজন কৃষ্ণাঙ্গ৷ কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির সঙ্গে ছিল একটি শিশু৷ ভেবের কৃষ্ণাঙ্গ ঐ পুরুষ ও শিশুটির ছবি পোস্ট করে এটাকে ‘নোংরা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷

লিঞ্জ আদালতে ভেবের উপস্থিত হলে বিচারক বলেন, অপরাধী হিসেবে দণ্ড থেকে তিনি রেহাই পেতে পারেন, যদি অনলাইনে কীভাবে ভালো আচরণ প্রদর্শন করতে হয়, সে সম্পর্কে একটি কোর্সে অংশ নেন৷

সেরকম একটি ৬ মাসের কোর্স আছে৷ সেই কোর্সে অনলাইনে ঘৃণা বক্তব্য রোধে কী কী করা উচিত সে সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়৷ পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের আচরণে কী এবং কেন ভুল ছিল সে সম্পর্কেও জানানো হয়৷ এছাড়া তারা কীভাবে অন্যদের আঘাত বা ঘৃণা প্রদর্শন না করে অনলাইনে বক্তব্য ও মতামত দিতে পারে, সে সম্পর্কে জানানো হয়৷

আগামী দুই বছর ভেবেরের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ দুই বছর পর যদি তার আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়, তাহলেই কেবল তার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হবে৷ ভেবের আদালতের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং আক্রমণাত্মক মন্তব্য করার কারণ জানাতে গিয়ে বলেছেন, সেইরাতে অনেকগুলো বিয়ার খেয়ে লিখতে বসেছিলেন বলে ‘বাড়াবাড়ি’ হয়েছে৷

অস্ট্রিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ঘৃণা বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে ৮২৭টি মামলা হয়েছে৷ ২০১৫ সালে এমন মামলা হয়েছিল ৫১৬টি৷

এসএইচ-২৫/০১/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র : ডয়চে ভেলে)