গঙ্গা নদীর জন্য জীবন ত্যাগ

গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রতুল্য গঙ্গা নদীকে দূষণের কবল থেকে রক্ষার জন্য অনেকেই অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। গত অক্টোবরে ১১১ দিন অনশনের পর ভারতের হরিদ্বারে মারা যান জি ডি আগরওয়াল। একই দাবিতে ৪০ দিন অনশনের পর চলতি সপ্তাহে মারা গিয়েছে আত্মাবোধনাধ নামে এক তরুণ।

২৬ বছরের আত্মাবোধনাধ মাতৃসদন নামে একটি আশ্রমের বাসিন্দা ছিলেন। গত ২৪ অক্টোবর তিনি খাদ্যগ্রহণ বন্ধ করে দেন। তিনি স্রেফ পানি, লবন ও মধু পান করতেন। ১৯৯৭ সালে মাতৃ সদন আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা হয়। গঙ্গা রক্ষার দাবিতে এ পর্যন্ত আশ্রমের ৬০ জন বাসিন্দা অনশন কর্মসূচিতে পালন করেছেন।

আত্মাবোধনাধ অনশন কর্মসূচি পালনকালে নদীর তীরে একটি আম গাছের নিচে কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকতেন। রাতে তিনি আশ্রমের ভিতরে চলে যেতেন। আত্মাবোধন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের আশ্রমের আত্মত্যাগের ইতিহাস আছে।’

পাঁচ বছর আগে কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র আত্মাবোধন পড়াশোনা বন্ধ করে দেন এবং ট্রেন, বাস ও পায়ে হেঁটে কেরালার হরিদ্বারে আসেন। আত্ম উৎসর্গের জন্য তিনি হিমালয়ে যেতে চেয়েছিলেন। স্বামী শিবানন্দ নামের এক ধর্মগুরু বিষয়টি জানতে পেরে তাকে মাতৃ সদন আশ্রমে নিয়ে আসেন।

২,৫১০ কিলোমিটার দীর্ঘ গঙ্গা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান নদী৷ জৈব আবর্জনার সঙ্গে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রনে গঙ্গার দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এছাড়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১ হাজার বাঁধ নির্মাণ করায় নদীর পানি প্রবাহ কমে গেছে।

এসএইচ-২৩/০৮/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)