ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দুই চাষী আত্মহত্যা

ভারতের মাহারাষ্ট্র প্রদেশে ঋণ শোধ করতে না পেরে দুই পেয়াজ চাষী আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাজারে পেয়াজের ক্রমাগত দরপতন ও ঋণের বোঝা বইতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছেন তারা।

আত্মহত্যাকারী ওই দুই কৃষক হলেন ৪৪ বছর বয়সী তাতিভ্যু খুর্ণা ও ৩৩ বছর বয়সী মনোজ ধোংদাগে। তারা দুজনেই উত্তর মহারাষ্ট্র জেলার বাগলান তালুকার বাসিন্দা। মহারাষ্ট্রের নাশিক নামের ওই অঞ্চলটি ভারতের মোট পেয়াজের ৫০ শতাংশ উৎপাদিত হয়।

এখানকার কৃষকদের অভিযোগ, অত্যধিক সরবরাহ হওয়ায় তারা তাদের পেয়াজের ন্যায্যমূল্য পায় না। অনেক সময় অল্প দামে সেসব বিক্রি করে দিতে হয়। ফলে ঋণের টাকায় যে পেয়াজ উৎপাদিত হয় তা দিয়ে দায় শোধ করতে পারে না অনেকেই।

কর্মকর্তাদের কাছে কৃষক তাতিভ্যু খুর্ণার আত্মীয়-স্বজন বলেন, কম দামের কারণে তিনি তার ৫০০ কুইন্টাল পেয়াজ বিক্রি করতে পারছিলেন না। এদিকে ১১ লাখ টাকা ঋণ নেয়ায় তার ওপর চাপ আসতে থাকে। আর দাম একেবারে কম হওয়ায় আর সে পেয়াজ বিক্রি করেও কোনো লাভ নেই। তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন।

তাছাড়া মনোজ ধোংদাগের পরিবার বলছে, তার মোট ২১ লাখ টাকা ঋণ ছিল। যা শোধ করতে তিনি হিমমিশ খাচ্ছিলেন। পেয়াজের দাম কম হওয়ায় মূলধন রক্ষা করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উপায় না পেয়ে তাই আত্মহত্যা করেন তিনি।

এসএইচ-২৯/১০/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)