ব্রিটিশদের আয়ু কমছে

দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের পর এই প্রথমবার ব্রিটিশ নাগরিকদের গড় আয়ু হ্রাস পাওয়ায় উদ্বিগ হয়ে পড়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মোটা হয়ে যাওয়া, ধূমপান ও অন্যান্য স্বাস্থগত সমস্যার কারণে ব্রিটিশ নারীদের আয়ু কমেছে শূণ্য দশমিক ৪ বছর।

২০১১ সালে টরি সরকার স্বাস্থ্যখাতে যে সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেন তাকেই আয়ু হ্রাসের একটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হৃদরোগ ও স্ট্রোক ব্রিটিশদের মৃত্যুর দুই প্রধান কারণ। নাগরিক স্বাস্থ্য সুবিধা এবং এ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়ার কারণেই ব্রিটিশদের আয়ু কমিয়েছে এমন যুক্তি জোর গলায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দি সান

ব্রিটিশ নারীদের গড় আয়ু হচ্ছে ৮৩.২ ও পুরুষদের ৭৯.৬ বছর। ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের আয়ু পুরুষদের ১.৬ বছর ও নারীদের ১.৩ বছর বেড়েছে। কিন্তু ২০১১ থেকে ২০১৬ সালে তা পুরুষদের ক্ষেত্রে ০.৪ ও নারীদের ০.১ বছর বেড়েছে মাত্র।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১০ জন হৃদরোগ ও স্ট্রোকের রোগীর ৮ জনই উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসেবা পেলে ভাল হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু অর্থাভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এবং তাদের এ সম্পদের অভাব সরকারের এ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়ার বিষয়টিকে আরো প্রকট করে তুলেছে। ধূমপান কমিয়েও হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে অনেকটা দূরে থাকা সম্ভব। এছাড়া শীতজনিত রোগ ব্রিটিশদের আরেক ঘাতক। রয়েছে স্থুলতা। কারণ ২০ ভাগ শিশু ও ২৫ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মোটা হবার কারণে দ্রুত হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী জন এ্যাশওয়ার্থ বলেন, টরি সরকার যে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমিয়ে গেছেন তা নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে। এটা ব্রিটিশদের জন্যে খুবই লজ্জা যে তাদেরকে দারিদ্রের মধ্যে দিয়ে জন্ম নেবার পর অসুস্থ অবস্থায় বিনাচিকিৎসায় অকালমৃত্যুতে ঢলে পড়তে হয়।

এসএইচ-১৪/১২/১২ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)