প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সিদ্ধান্ত ভোটের পরে

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিজেপিকে হটাতে আট দলের সঙ্গে জোট করেছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। জোট গঠনের আগে প্রশ্ন উঠেছিল জেতার পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছে দলগুলো। তাঁরা জানিয়েছে জয়ী হবার পরেই ঠিক করা হবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজ্যসভার বিরোধী নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, আগে থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করা হচ্ছে না৷ বিরোধী নেতারা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভোটের পর তারা প্রধানমন্ত্রীকে বাছবেন৷

কমলনাথ বলেন, রাহুল গান্ধী নিজে কখনও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উপর জোর দেননি। সব সময়ই বিরোধী জোটের কথা বলেছেন।

এদিকে তৃণমূল, এনসিপি, সপা, বসপা, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, তেলুগু দেশমের মতো আটটি দল আলাদাভাবে জানিয়েছে, আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে যে, বিরোধীরা জিতলে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে কে বসবেন তা সকলে মিলে ঠিক করা হবে৷

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অশোক গেহলটের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জোটের দলগুলোর প্রধানদের আমন্ত্রণ জানান রাহুল৷সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে একটি ছবিতে দেখা গেছে, একটি বাসে করে সব বিরোধী নেতা এয়ারপোর্ট থেকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন৷ সেখানে বাসে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পাশে বসে আছেন রাহুল৷ পিছনে সব বিরোধী নেতা৷

বস্তুত, বিরোধী নেতারা এ দিন তিনটি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেই গিয়েছেন৷ তাদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা ছিল৷ কিন্তু রাহুল প্রতিবারই বিমানবন্দরে গিয়ে অপেক্ষা করেছেন৷ সব নেতা এসেছেন৷ তার পর বাসে করে তারা সকলে একসঙ্গে গিয়েছেন৷ এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একতার বার্তা দিয়েছেন রাহুল।

জোট নেতাদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব ছিলেন না৷ তবে সবকটি দলই তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল৷

বিজেপিকে রুখতে জোট গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এক নেতা রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তবে সেই ঘোষণা অস্বীকার করে রাহুল গান্ধী বরাবরই বলে আসছেন যে তাদের উদ্দেশ্য বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানো। এছাড়া তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা নেই বলেও জানান রাহুল গান্ধী।

এসএইচ-০৮/১৮/১৮ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)