সিরিয়া থেকে দেশে ফিরছে মার্কিন সেনারা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে ঘোষণা পর দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ দ্রুতই তা কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে সিরিয়ার রণাঙ্গন ছেড়ে ফিরতে শুরু করেছেন মার্কিন সেনারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বুধবার বিবৃতি দিয়ে সৈন্য প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা জানান। তিনি বিবৃতিতে বলেন, এই অভিযানকে পরবর্তী পর্যায়ে রূপান্তরিত করার জন্য আমরা সিরিয়ায় থাকা মার্কিন দুই হাজার সেনা সদস্যকে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছি। তার মতে, পাঁচ বছর আগে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসবাদী গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র এই আঞ্চলিক ‘খেলাফতকে পরাজিত’ করেছে।

২০১৪ সালের জুনে ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ওয়াশিংটন। এরপর বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি ওই বছরেরই সেপ্টেম্বরে সিরিয়ায়ও সামরিক অভিযান শুরু করে। যদিও দামেস্ক-মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, আইএস দমনের নামে যুক্তরাষ্ট্র এই ময়দানে এসেছিল প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিদ্রোহীদের সার্বিক সহায়তা দিতে।

স্যান্ডার্স তার বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে এ বিজয় সমাপ্ত হওয়ার সংকেত বৈশ্বিক জোট এখনো না দিলেও এটা স্পষ্ট যে সন্ত্রাসবাদ পরাভূত হয়েছে।

হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের সহযোগীরা যখনই প্রয়োজন পড়ে আমেরিকান স্বার্থ রক্ষার জন্য আবারও অভিযানে নামবে। এছাড়া আমরা মূলত ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের বিরুদ্ধে সব সময়ই কাজ করে যাবো। সেইসঙ্গে তাদের দমনে তহবিল, সমর্থন দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাবো।

সর্বশেষ সিরিয়ায় প্রায় দুই হাজার আমেরিকান সেনা সদস্যের অবস্থান থাকে। এছাড়া ইরাকে এখনও প্রায় পাঁচ হাজার ২০০ এর চেয়ে বেশি মার্কিন সেনা সদস্য অবস্থান করছেন।

এর আগে বুধবারই সিরিয়ার অবশিষ্ট সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এসএইচ-১১/২০/১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)