সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য তোলা না তোলার বিষয় যখন এখনও ঘোলাটে তার মধ্যেই চমক সফর দিয়ে আলোচনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোনও ঘোষণা ছাড়াই ইরাক সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী ফাস্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প। যুদ্ধাঞ্চলে এটাই কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর। এই জোনে ট্রাম্পের এটাই প্রথম কোন সফর।
এই ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিশ্ব মিডিয়ায়। গত সপ্তাহে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তের পর অঘোষিত ইরাক সফর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে।
যদিও ট্রাম্প জানান, আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের কোনও পরিকল্পনা নেই ইরাক থেকে সৈন্য তুলে নেয়ার। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস এই যুদ্ধাঞ্চলে সামরিক কৌশলগত অসম্মতিতে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের এমন কথা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ইরাকে অবস্থান নেয়া মার্কিন সৈন্যদের ক্রিসমাস শুভেচ্ছা জানানোর জন্যই বুধবার বিমানযোগে দেশটির পশ্চিম বাগদাদে গিয়েছেন সস্ত্রীক ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে-মার্কিন সৈন্যদের ‘সেবা, সফলতা ও আত্মত্যাগের’ কথা মাথায় রেখে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা দিতেই গভীর রাতে সেখানে গেছেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ক্রিসমাসের দিনে ট্রাম্প ফ্লোরিডার একটি প্রাইভেট ক্লাবে উদযাপনের পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু পারেন নি। সফরে কোন ঘোষণা ছাড়াই ইরাক সফরে বের হয়েছেন। এর আগেও গত বছর অঘোষিত সফর করেছিলেন ট্রাম্প। এবার ইরাকে গেলেন সৈন্যদের শুভেচ্ছা জানাতে। সেখানে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছেন দেশটি ক্ষমতাসীন আসাদ সরকারকে সমর্থন দিতে তথাকথিত আইএস দমন করতে।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় কিছু করতে চাইলেই ইরাককে কাজে লাগাতে পারে। সিরিয়া থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে ডিফেন্ড করে সফর শেষে তিনি জানান, অনেক লোকেই আমার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হবে।’
গত সপ্তাহেই সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই প্রেসিডেন্ট।
এসএইচ-১৫/২৭/১৮ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: বিবিসি)