ছাত্রীদের যৌনতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং

ড্রিংকস পার্টিতে যৌনতার জন্য ছাত্রীদের কত সহজে রাজি করানো যায়; তার ভিত্তিতে জাপানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র‌্যাঙ্কিং প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির একটি ম্যাগাজিন। সমালোচনার মুখে পুরুষদের ওই ম্যাগাজিন দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে।

সাপ্তাহিক ওই ম্যাগাজিনের তালিকা প্রকাশের পর চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে একজন নারী ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেন; তার দাবি এই তালিকা সরিয়ে ফেলে দ্রুত ক্ষমা চাইতে হবে।

ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জিয়ারানমি নামের একটি পার্টির উল্লেখ করা হয়; যা জাপানে ড্রিংকস পার্টি হিসেবে পরিচিত। এই পার্টিতে অংশ নেয়ার জন্য নারীদের অর্থ দেন পুরুষরা।

গত ২৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই তালিকায় বলা হয়, কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ড্রিংকস পার্টিগুলো জনপ্রিয়। একজন অ্যাপ নির্মাতার সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করেছিল ওই ম্যাগাজিন। সাক্ষাৎকারে ওই নির্মাতা বলেন, তাদের এই অ্যাপ ড্রিংকস পার্টিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীদের খুঁজে দিতে সহায়তা করে।

ওই র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই ড্রিংকস পার্টিতে নিয়ে যাওয়া যায়। নারী শিক্ষার্থীর পোশাক এবং আচরণ দেখে কীভাবে বোঝা যাবে যে ওই নারী যৌনতার জন্য রাজি হবেন কি-না; সেব্যাপারেও লিখেছে ম্যাগাজিনটি।

মঙ্গলবার দেশটির কাজুনা ইয়ামামোতো নামের এক নারী চেঞ্জডটওআরজি (change.org)-তে একটি অনলাইন পিটিশন চালু করেছে। এতে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

ওই নারী পিটিশনে লিখেছেন, চলতি বছরে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ জাপান। তার আগে এ ধরনের একটি আর্টিকেশ বেশ হাস্যকর। এটা মোটেও মজার নয়। পরে এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের র‌্যাঙ্কিং এবং প্রতিবেদন প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ওই ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ।

এসএইচ-১৭/০৯/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)