মমতাকে খোঁচা মোদির

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শেষ বড় সম্মেলনে অমিত শাহ গতকাল হুঙ্কার দিয়েছিলেন, বাংলায় ক্ষমতায় আসতে তার দল পুরোপুরি তৈরি। রোববার ভারতের দিল্লির রামলীলা ময়দানের মঞ্চেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নানাভাবে তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদি ও তার সেনাপতিরা।

খোদ প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের নাম নিলেন সিবিআইয়ের রাজ্যে প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রসঙ্গে। বলেন, কংগ্রেস জমানায় সরকার আমাকে হেনস্থা করতেও সিবিআইকে ব্যবহার করতো। কিন্তু তখনও আমি গুজরাতে সিবিআইয়ের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করিনি। কিন্তু এখন সে কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্রীশগড়ের মতো কিছু রাজ্য।

কারও নাম না করে তার প্রশ্ন, ‌কেন সিবিআই রাজ্যে যেতে পারবে না? এত ভয় কেন? এমন কী কাজ করেছে যে ঘুম ছুটে গেছে?

‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরে যাওয়া নিয়েও মমতাকে বিঁধেছেন মোদি। তার বক্তব্য, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কোথাও নরেন্দ্র মোদির নাম ব্যবহার করা হয়নি। যে সব গরীব রোগীদের চিকিৎসার একান্ত প্রয়োজন তাদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মমতা দেখাচ্ছেন না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সার্বিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু রাজ্যভিত্তিক নেতার দলে ভিড়েছেন। ওই নেতারা মানুষের কল্যাণের চেয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।

অমিত শাহ আর অরুণ জেটলিও আক্রমণ করলেন মমতাকে। অমিত শাহ বলেন, বাংলার পরিস্থিতি দিল্লিতে বসে ভাবাই যাবে না। সেখানে বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে, অত্যাচার করা হচ্ছে। বিজেপির সকলের বাংলার টিমের সঙ্গে থাকা উচিত।

আর অরুণ জেটলি খুঁচিয়ে তুললেন মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছেকে। কংগ্রেসকে আক্রমণের মধ্যেই জানালেন, ‘বাংলার দিদি’রও মোদির নেতৃত্বের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত নেই।

গতকালই যখন অমিত শাহ হুঙ্কার দিয়েছিলেন, তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছোড়েন পাল্টা চ্যালেঞ্জ। তিনি জানান, অমিত শাহ বাংলায় যে আসনেই লড়তে চান, সেখানেই তিনি তাকে হারানোর দায়িত্ব নিচ্ছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য আজ বলেন, অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদি নিজে বঙ্গে লড়বার কথা বলেননি। সেখানে গিয়ে দলকে জেতানোর কথা বলেছেন। অভিষেক বরং বাংলার বাইরে ভোটে জিতে দেখান।

‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবি প্রসঙ্গে মোদিকে মমতার তুলোধনা নিয়ে দিলীপের মন্তব্য, আমরা তো ভাবছি একটি ছবি করব। তার নাম হবে দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল চিফ মিনিস্টার। সেটাই চলবে ২০২১ সাল পর্যন্ত।

এসএইচ-১৯/১৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)