নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী দ্বাদশ শ্রেণি পাস।

তিনি বুঝতেও পারেন না প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কোথাও স্বাক্ষর করার কথা। তাই দেশের নাগরিকদের বলছি আগামী দিন দ্বাদশ শ্রেণি পাস কাউকে দায়িত্ব দেবেন না। শিক্ষিত কাউকে প্রধানমন্ত্রিত্ব করার সুযোগ দিন। আগের বার যে ভুল হয়েছিল তা এবার আর যেন না হয়।

বৃহস্পতিবার টুইটারে তিনি এসব কথা লেখেন। এর আগে বুধবারে দিল্লিতে বিরোধী সমাবেশের আয়োজন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও একই বক্তব্য দেন কেজরিওয়াল।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেজরিওয়ালের দল। মোদীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছে তারা।

কেজরিওয়ালের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুও ‘শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী’ চেয়েছেন। ভারতীয়দের কাছে আমার অনুরোধ ভোট দেওয়ার আগে ভাল করে ভাবনা চিন্তা করুন। ভারত এক সম্ভাবনাময় দেশ। এ দেশের নেতৃত্ব এক শিক্ষিত মানুষের হাতেই থাকা উচিত। গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে ভেঙেচুরে তছনছ করবেন এমন কোনও স্বৈরাচারীর প্রয়োজন ভারতের নেই।

সমাবেশে হাজির হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে একা লড়ার বার্তা দেন। তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূল শক্তি বেশি। আমরাই লড়ব। সমঝোতা হলেও ভোট আসবে না। আমরা এ সবে অভ্যস্ত। কংগ্রেস এবং সিপিএমের সঙ্গে আমাদের লড়াই রাজ্য স্তরে। কেন্দ্রে আমাদের লড়াই মোদির বিরুদ্ধে। সেই লড়াই আমরা করব।

বিজেপির পাশাপাশি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন দেশে এখন দুই গব্বর আছে। তারাই দেশ চালাচ্ছে। সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে। ওদের ভয় দেখানোর মেয়াদ আর ২০ দিন।

এসএইচ-১৪/১৪/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)