স্কুল বন্ধ রেখে ইউরোপ জুড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্কুল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নেমে পড়েন হাজারো শিক্ষার্থী। নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য হিল

সুইডেন ও বেলজিয়ামের পর এবার লন্ডনে শিক্ষার্থীরা পার্লামেন্ট স্কয়ার,অক্সফোর্ড, ডাউনিং স্ট্রিট, ম্যানচেস্টার ও অন্যান্য স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। ‘জলবায়ু নয়, রাজনীতি পরিবর্তন কর’ সম্বলিত ব্যানার উত্তোলন করে স্লোগান দেন তারা। ফ্রান্সের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হয় শতশত শিক্ষার্থী। প্রতি বছর কমপক্ষে ৪ ভাগ গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণের স্লোগান দেন তারা। বিক্ষোককারীরা বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন তারা।

এর আগে গত বছর সুইডিশ পরিবেশ অধিকার কর্মী গ্রিতা থানবার্গ (১৬)একই ধরনের আন্দোলন করেছিলেন। সেপ্টেম্বরে সুইডিশ সরকারকে জলবায়ু পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে প্রায় সপ্তাহব্যাপী ক্লাস বর্জন করেছিলেন তিনি। তার আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্রিটেনে গঠন করা হয় ‘ইয়ুথ স্ট্রাইক ৪ ক্লাইমেট’।

সামাজিক মাধ্যমে এই আন্দোলনের সঙ্গে কাঁধে কাধঁ মিলিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা। বার্লিনের সংগঠক লুইসা নিউবুয়ার (২২) শুক্রবারের এই প্রতিবাদকে শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ৬ বছরের শিশুরাও। আমরা সত্যিই ভিন্নতা তৈরি করতে পেরেছি।’

এদিকে কিছু রাজনীতিবিদ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন করলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মতো অনেক রাজনীতিবিদ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। থেরেসা মের মুখপাত্র বলেন, ‘সবাই চায় তরুণরা এই ইস্যুর সঙ্গে জড়িত হোক, কারণ তারাই এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে, আমরা সকলের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে কাজ করছি।

কিন্তু শিক্ষা গ্রহণের সময়ের অপচয় সম্পর্কেও শিক্ষকদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’ থেরেসার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে থানবার্গ টুইটে লেখেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জনকে শিক্ষা গ্রহণের সময়ের অপচয় বলছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদরা পদক্ষেপ গ্রহণে ৩০ বছর অপচয় করে ফেলেছেন।’

 এসএইচ-২৯/১৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)