সিরিয়ায় আইএসের হাতে জিম্মি ২০০ পরিবার

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের হাতে অন্তত ২০০ পরিবার জিম্মি রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান মিশেল ব্ল্যাশেত বলেন, অনেক পরিবারই পালিয়ে আসার চেষ্টা করছে। তাদের জন্য নিরাপদ পথ প্রয়োজন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত অঞ্চল থেকে সরকারি বাহিনীকে সরিয়ে দিয়ে ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। তবে বিগত কয়েকমাসে ব্যাপক সামরিকস ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে সংগঠনটি। ইরাক ও সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রিত বিস্তৃত অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। তবে ছোট ছোট কিছু এলাকায় এখনও নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে তারা।

মিশেল ব্যাচেলেত বলেন, আইএসের দখলিকৃত এলাকায় ২০০ পরিবার আটকা পড়ে আছে। তারা সবাই আতঙ্কে আছেন যে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা কিংবা এসডিএফের স্থল হামলায় প্রাণ হারাতে পারেন তারা।

আইএসের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি বাঘুজ অভিযান শুরু করেছে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী এসডিএফ। ওই স্থানে প্রায় ২ হাজার বেসামরিক রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিশেলের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল বলেন,‘আমরা বুঝতে পারছি যে আইএস তাদের পালাতে দিচ্ছে না। ফলে সেটা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হবে।’ আর এসডিএফকেও যুদ্ধ আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া আইএসের দখলকৃত এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয় ২০ হাজার বেসামরিকের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিশেল। তাদের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা রয়েছে। কোলভিল বলেন, বেসামরিকদের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে, ক্যাম্প থেকে বের হতে দিতে হবে।

এসএইচ-২২/১৯/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)