মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে না ব্রেনটন ট্যাারান্টের

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে নির্বিচারে গুলি করে ৫০ জনকে হত্যার পরও হত্যাকারী ব্রেনটন ট্যারেন্টের মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে না। তার সর্বোচ্চ সাজা বড়জোড় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। নিউজিল্যাণ্ডে মৃত্যদণ্ডের বিধান ১৯৬১ সালে গণভোটের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ১৯৫৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে নির্বিচারে গুলি করে ৫০ জনকে হত্যার পরও মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরছে না দেশটিতে। বিষয়টি জানিয়েছে খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ তথ্য দিয়েছে।

তবে দেশটিতে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার আইনের পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। আগামী ১১ এপ্রিল নাগাদ নতুন আইন পাস হওয়ার কথা জানান তিনি।

নিউজিল্যান্ডের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। গত ১৫ মার্চ মসজিদে হামলায় বিচারাধীন ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারান্টের বিচারের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আইন পুনর্বহালের দাবি ওঠে। এই দাবির পক্ষে সমর্থন যোগাতে ‘চেঞ্জ ডট ওআরজি’তে পেজ খোলা হয়। কোনো ইস্যুতে প্রচারণা ও সমর্থন জানানোর জন্য চেঞ্জ সাইটটি আন্তর্জাতিকভাবে বেশ জনপ্রিয়।

নিউজিল্যান্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকেই প্যারোলে মুক্তির সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩০ বছর পর্যন্ত বন্দি থাকতে হয়।

এ ছাড়া সোমবার ওয়েলিংটনে কিউই প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা তদন্তে ‘রয়্যাল কমিশন’ গঠন করা হবে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ নিউজিল্যান্ডের বেশকিছু দেশে যেকোনো অধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্তে ‘রয়্যাল কমিশন’ গঠন করা হয়ে থাকে।

১৯৬১ সালে এক গণভোটের পর ফৌজদারি আইনের সংশোধন এনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে দেওয়া হয়।

এসএইচ-২০/২৫/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)