শিশু ঘরে কিংবা বাইরে যেখানেই থাকুক তার দৃষ্টি থাকে স্মার্টফোনের দিকে। এ দৃশ্য আজকাল সর্বত্রই দেখা যায়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশুদের শরীর ও মনে। তাই শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার দাবি উঠেছে জার্মানিতে।
৯০ ভাগ শিশু স্মার্টফোন ব্যবহার করে
জার্মানিতে ১৩ বছর বয়সী শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ শিশুই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আর তার ভীষণ ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে শিশুদের শরীর ও মনে। জার্মানিতে ১৪ বছরের কমবয়সী শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছেন ইন্টারনেট বিষয়ক সরকারি উপদেষ্টা ইউলিয়া ফন ভাইলার।
সহিংসতার ছবি
ইউলিয়া ফন ভাইলার জানান, মাত্র ৯ বছর বয়সেই শিশুরা ইন্টারনেটে সহিংসতার ছবি দেখে। তাই তিনি স্মার্টফোন দেখার ক্ষেত্রে শিশুদের যেন বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়, অর্থাৎ বয়স ১৪ পূর্ণ হলে যেন তারা স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুমতি পায়, সেই প্রস্তাব করেছেন।
পর্ন দেখা
৯ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মধ্যে সহিংসতা ও পর্ন ছবি দেখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এমনকি সব বয়সীদের মধ্যে ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছাড়া হচ্ছে। জার্মান পুলিশ বলছে, এ ধরনের ভিডিওর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বেশি খেলাধুলা করা উচিত
আজ আর কারো অজানা নয় যে স্মার্টফোন ব্যবহার শিশুদের মনোযোগে ব্যঘাত ঘটায়, এতে স্কুলের ফলাফলও খারাপ হয়। খেলাধুলা না করা বা কম করার কারণে আজকের শিশুরা নানা অসুখ ও অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে বলে জার্মানির শিশু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
ডাক্তারদের পরামর্শ
বন্ধুদের মধ্যে মোবাইলে মেসেজ না পাঠিয়ে নিজেদের মধ্যে দেখা করা উচিত। সরাসরি ভাবের আদান-প্রদান, খেলাধুলা ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাই শিশুদের সুস্থ রাখে বলে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
স্মার্টফোন , ল্যাপটপ ব্যবহারের নিয়ম
জার্মানির পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া পরামর্শদাতা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে, পাঁচ বছর পর্যন্ত দিনে আধা ঘণ্টা আর ৬ থেকে ৯ বছর বয়সীরা দিনে একবার একঘণ্টা করে স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুমতি পাবে। আর ১০ বছরের বেশি যাদের বয়স, তারা সপ্তাহে নয় ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারে। তবে যে শিশু তিনদিনে ৯ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করবে, তার ফোন সপ্তাহের বাকি দিনগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে।
এসএইচ-১৭/৩১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তথ্য সূত্র: ডয়েচে ভেলে)