বিশ্বব্যাংকের শীর্ষ পদে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডেভিড ম্যালপাসকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । বিশ্বব্যাংকের ২৫ সদস্যের নির্বাহী পর্ষদের সদস্যরাও শুক্রবার সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে মেনে নিয়েছেন।
ট্রাম্পের অনুগত এই ম্যালপাস ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
আগামী মঙ্গলবার থেকে বিশ্বব্যাংকের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ম্যালপাস। তিনি পাঁচ বছর এ পদে বহাল থাকবেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়ার পর নিজেকে সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের নেতা ম্যালপাস।
প্রসঙ্গত, মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন বছর আগেই গত ৭ জানুয়ারি জিম ইয়ং কিম আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
২০১২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন জিম এবং ২০২২ সাল তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
জিমের আকষ্মিক পদত্যাগের পর বিশ্বব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অন্যদিকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যালপাসের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আর তখন থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ বিশ্ব ব্যাংকের ভূমিকা খর্ব করতে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকে।
চীনের মতো মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে কম ঋণ দেয়া উচিত কিংবা ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সংযমী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এই দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী বলে যুক্তি দেন ম্যালপাস।
বিভিন্ন সময়ে চীনকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে বিরোধিতাও করেন তিনি। চীনকে ঋণ দেওয়া ঠেকাতে বিশ্ব ব্যাংককে চাপ প্রয়োগকারী ম্যালপাস গত বছর সংস্থার ঋণ বিতরণ পদ্ধতির সংস্কার আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর তহবিলের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই সব সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে একজনকে বেছে নেয়। এক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তারা পছন্দের ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগ দেন। যদিও এ বিষয়ে লিখিত কোনো চুক্তি নেই।
এসএইচ-১৬/০৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)