পাকিস্তানের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু সাধারণ নাগরিক নয় দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত এবং ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, পাকিস্তানে কনস্যুলার কার্যক্রম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে গত ২২ এপ্রিলে ফেডারেল রেজিস্ট্রেশন নোটিফিকেশন পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি অনুমোদন করে।
সেখানে ভিসা বন্ধের বিষয়টি সতর্ক করে দেয়া হয়। এমনকি তা জানিয়ে দেয়া হয় পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকার দশম দেশ হবে পাকিস্তান।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, যেসব দেশ তাদের দেশের নির্বাসিত নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাবে এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশটিতে অবস্থান করবে তাদের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও দশটি দেশ রয়েছে। ২০০১ সালে ঘানা ও গুয়ানা, ২০১৬ সালে গাম্বিয়া, ২০১৭ সালে কম্বোডিয়া, ইরিত্রিয়া, গায়েনা ও সিয়েরা লিওন এবং ২০১৮ সালে সর্বশেষ বার্মা ও লাওসের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
তাছাড়া সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে লিবিয়া, ইরাক, ইরান, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানের নামও বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘ট্রাম্প যদি পাকিস্তানের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তাহলে মেধা পাচার কমে আসবে। তখন পাকিস্তানিরা নিজ দেশের সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দেবেন। তারা পাকিস্তানকে আরও ভালো অবস্থানে নেয়ার চেষ্টা করবেন।’
এসএইচ-১৫/২৭/১৯ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)