নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সেই নূর মসজিদের বাইরে বুধবার (২৫ এপ্রিল) সমবেত হয়েছিলেন খ্রিস্টানদের একটি গ্রুপ।
তারা দাবি তুলেছিলেন, নিউজিল্যান্ড হলো একটি খ্রিস্টান দেশ। এমন সমাবেশ ও দাবির পর মুখ খুলেছেন নিউজিল্যান্ডের পারাপারাউমু থেকে যাজক ডেরিল ওয়ার্ড। এ সময় তিনি বলেন, মুসলিমদের বিষয়ে বিচার (জাজ) করা বন্ধ করুন। তাদেরকে ভালবাসুন।এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
নূর মসজিদের বাইরে ডিসটিনি চার্চ খ্রিস্টানরা অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেন। এ গ্রুপটি ম্যান আপ অ্যান্ড লিগেসি নামে পরিচিত।
গ্রুপের প্রায় ১০০ সদস্য সেখানে সমবেত হন। এ সময় তারা ঘোষণা করেন যিশু খ্রিস্ট হলেন প্রকৃত ঈশ্বর। তাদের এমন বক্তব্যের পর ওই অপেশাদার যাজক ডেরিল ওয়ার্ড ওই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, মুসলিমদের বিষয়ে আমাদের বিচার বন্ধ করা উচিত। তার পরিবর্তে তাদেরকে ভালবাসা দিতে হবে। সহানুভূতি দেখাতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের বিষয়ে যত্ন নিতে হবে।
ওয়ার্ড আরও বলেন, খ্রিস্টিয়ানিটি কখনো নিউজিল্যান্ডে একমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল না। ইউরোপিয়ান ও অন্যান্য দেশ থেকে সেখানে মানুষ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মীয় বিভিন্নতা এসেছে। ঔপনিবেশিক যুগ থেকে আধিপত্য বিস্তার করেছে খ্রিস্টিয়ানিটি। তবে তা আস্তে আস্তে কমে এসেছে। পিউ রিসার্স সেন্টার পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে খ্রিস্টানদের বর্তমান শতকরা হার ৫৭ ভাগ থেকে কমে দাঁড়াবে ৪৪.৭ ভাগে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক হামলা চালায় ২৮ বছরের অস্ট্রেলিয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ঠান্ডা মাথায় এই হত্যাযজ্ঞে নিহত হয় ৫০ জন মুসলমান।নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা ছিল এটি। এই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। ফলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
এসএইচ-১৭/২৭/১৯ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)