অ্যাপ দিয়ে মুসলমানদের ওপর নজরদারি

সিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ওপর নজরদারি চালাতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে চীনা পুলিশ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, অ্যাপটি গণ নজরদারিতে কিভাবে কাজ করে তা জানতে তারা পরীক্ষা চালিয়েছে। দেখা গেছে, অ্যাপটির মাধ্যম ব্যবহারকারীর আচরণের ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজরদারি চালানো যায়। এর নজরদারির আওতায় ব্যবহারকারীর সামাজিক যোগাযোগ কম রাখা, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার এবং স্বজন বিদেশে আছে কিনা তাও জানা যায়।

অধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, চীনে উইঘুর মুসলমানরা প্রচণ্ড নিপীড়নের শিকার।

জাতিসংঘ এর আগে জানিয়েছে, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে যে, লাখ লাখ উইঘুর মুসলমানকে সিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে। চীন এসব বন্দিশিবিরের নাম দিয়েছে ‘কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র’।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলমানদের ব্যাপারে কর্মকর্তারা যাতে তথ্য রেকর্ড ও ফাইলবদ্ধ করতে পারেন সেজন্য তারা অ্যাপটি ব্যবহার করেন। এতে ‘৩৬ ধরণের লোকের’ ওপর বিশেষ করে নজরদারি করা উচিৎ বলে বিবরণের ঘরে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই শ্রেণির লোকদের মধ্যে রয়েছেন, কদাচিত বাড়ির সামনের দরজা ব্যবহারকারী, অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী, রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া যারা হজে গিয়েছেন। প্রতিবেদনে কোনো গোষ্ঠীর কথা অবশ্য সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এতে যে ‘৩৬ ধরণের লোককে’ টার্গেট করার কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ইমাম ও ওহাবি মতাদর্শে বিশ্বাসী লোকজনও রয়েছে।

অ্যাপের মাধ্যমে স্বংগৃহীত এসব তথ্য পাঠানো হয় সিনজিয়াংয়ের ওপর মূল নজরদারি সংখ্যা ইন্টিগ্রেটেড জয়েন্ট অপারেশন্স প্ল্যাটফর্মের (আইজেওপি) কাছে।

হিউম্যান রাইটসের চীন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক মায়া ওয়াং জানিয়েছেন, আইজেওপি হচ্ছে ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অনধিকার মূলক গণ নজরদারি ব্যবস্থা’।

তিনি বলেন, সংস্থাটি ‘সড়কের তল্লাশি চৌকি, তেলের পাম্প, স্কুলসহ সব স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তাদের অস্বাভাবিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে যার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়।’

এসএইচ-২৪/০২/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)