ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদেরকে ‘ধোয়া তুলসিপাতা’ আখ্যায়িত করে অপর দলকে ‘তুলোধুনা’ করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, বিরোধী দল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা-সবাই প্রতিপক্ষের বিষোদগারে মগ্ন।
এবার সেই বিষোদগারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির বিরুদ্ধে রাফায়েল (রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয়-সংক্রান্ত) বিতর্ক যদি রাহুলের হাতিয়ার হয় তাহলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোদির অস্ত্র বোফর্স। সেই বোফর্স কেলেঙ্কারিকে খুঁচিয়ে টেনে এনে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে ‘এক নম্বর দুর্নীতিবাজ’ বলতেও ছাড়েননি মি. প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার উত্তর প্রদেশের জনসভা থেকে দুর্নীতির প্রশ্নে রাহুল গান্ধী সমালোচনা করতে গিয়ে রাজীব গান্ধীকে টেনে আনেন মোদি। বলে বসেন, ‘আপনার বাবাকে তার লোকেরা “মি. ক্লিন” বলে অভিহিত করলেও “এক নম্বর দুর্নীতিবাজ” হিসেবে তার জীবন শেষ হয়।’
এখানেই শেষ নয়, মোদি আরও বলেন, ‘রাফায়েলের কথা বলে রাহুল গান্ধী বারবার তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছে। আমার ইমেজ ক্ষুণ্ন করে, আমাকে ছোট করে ওরা দুর্বল সরকার গঠন করতে চাইছে। তবে তার মনে রাখা উচিত মোদি কিন্তু মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মায়নি, না কোনো রাজবংশে।’
মোদির এমন খোঁচায় চটেছে কংগ্রেস। মোদির মন্তব্যের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি তার দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ হাইকোর্ট খারিজ করে দেয় বলে জানান তিনি।
বলেন, ‘মোদী কি জানেন না রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে? তিনি কি জানেন হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে যাবে না বলে স্থির করেছে?’
রাজিব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৮৬ সালে ভারতে ৪০০ হাওজার বিক্রির সময় ১ দশমিত ৩ বিলিয়ন ডলার ঘুষ দেয়ার অভিযোগ আছে সুইডিশ অস্ত্র ফার্ম এবি বোফর্সের বিরুদ্ধে, যা ইতিহাসে বোফর্স কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত।
এসএইচ-২৪/০৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)