প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক এখন অবস্থান করছেন মালয়েশিয়া। ভারত শুরু থেকেই চেষ্টা করছে তাকে ফিরিয়ে আনার। অনেক আগেই জাকির নায়েককে ভারতে প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছিল ভারত। তবে এই আবেদনে সাড়া দেয়নি মালোয়েশিয়া। তারা ভারতের কাছে জাকির নায়েককে প্রত্যাবর্তন করতে অস্বীকার করেছে।
এবার মালয়েশিয়া জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠিত পিস টিভির জন্য জমি ও জাতীয় সম্প্রচারের জন্য স্লট দিচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এমন দাবি ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। তবে ভারতের এমন দাবি ভিত্তিহীন বলছে মালয়েশিয়া। একই সঙ্গে এটি ভারতীয় গণমাধ্যমের অপপ্রচার বলে দাবি করছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রচার করা হয়েছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমরা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে ব্যাখ্যা করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ইউএপিএ আইনে ২০১৬ সালে জাকিরের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের একটি আদালতে জাকির ও অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দায়ের করে এনআইএ।
এরপর জাকির নায়েক ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। এই নিয়ে তৃতীয়বার জাকির ও তার আত্মীয়দের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মোট ৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷
ইডি সূত্রে জানা গেছে, জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে প্রথমে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার একটি সাময়িক নির্দেশ জারি করা হয়। মুম্বাইয়ের ফতিমা হাইটস, আফিয়া হাইটসসহ ভান্ডুপ এলাকায় একটি বেনামী প্রজেক্টে জাকিরের আত্মীয়দের বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানতে পারেন ইডির তদন্তকারীরা। এমনকি, পুনেতে এনগ্রাসিয়া নামের একটি প্রজেক্টের সঙ্গেও তারা জড়িত বলে জানতে পারে ইডি।
তদন্তকারীরা আরও জানায়, প্রথমে অর্থ লেনদেন করা হত জাকিরের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। কিন্তু পরে তদন্ত শুরু হতেই সেই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয় জাকিরের স্ত্রী, ছেলে, ভাগ্নের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। মূলত তদন্তকারীদের চোখে ধুলা দিতে এই প্রচেষ্টা করা হয়।
এসএইচ-২৮/০৮/১৯ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)