কার দখলে দিল্লির মসনদ?

সপ্তদশ সংসদীয় নির্বাচনের সাত দফা ভোটের মধ্যে ছয় দফা শেষ৷ বাকি মাত্র এক দফা। আগামী রবিবার (১৯ মে) শেষ দফা ভোটগ্রহণ হবে৷ ২৩ মে ঘোষণা করা হবে ভোটের ফলাফল। এরপরই পুরোপুরি জানা যাবে দিল্লির মসনদে কে বসছেন। তবে এরই মধ্যে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা হিসেব কষা শুরু করেছেন।

কোন দল বা জোট সরকার গড়বে? শাসক ও বিরোধী উভয়ের দাবি, তারাই গড়বে সরকার৷ পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলির মহাজোট সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে বলছে, সরকার গঠনের সম্ভাবনায় তারাই এগিয়ে৷

এই জল্পনার অবসান হবে ২৩ মে ভোট গণনার পর৷ কিন্ত তার আগেই সরকার গড়া নিয়ে হিসেব-নিকেশ শুরু হয়ে গেছে, সংসদের নিম্নসভা লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে শাসক দল, বিরোধী দল এবং আঞ্চলিক দলগুলির মহাজোট কে কতটি আসন পেতে পারে৷ শাসক দল বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ধারণা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের হাতের মুঠোয়৷

অন্যদিকে আঞ্চলিক দলগুলির দাবি, সরকার গড়ার চাবিকাঠি তাদের হাতেই৷ তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, শাসক ও বিরোধী দল সরকার গড়ার মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে আঞ্চলিক দলগুলিকে কাছে টানতেই হবে৷ দেখা যাক, এক্ষেত্রে বিকল্প সম্ভাবনা কী কী হতে পারে?

এক, ২০১৪ সালের মতো বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল এবং শরিক দলগুলিকে নিয়ে এনডিএ (জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট) সরকার গঠন করল৷

দুই, শরিকদের নিয়েও দেখা গেল বিজেপি এনডিএ সরকার গড়তে পারল না৷ সেক্ষেত্রে শরিক দলকে সরকার গড়তে দিয়ে বিজেপি বাইরে থেকে সমর্থন দিল৷

তিন, শরিকদের নিয়েও যদি বিজেপি সরকার গড়তে না পারে, সেক্ষেত্রে বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ (সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট) সরকার দিল্লির মসনদ দখল করতে পারে৷

চার, বিরোধী শিবিরের আঞ্চলিক দলগুলি মিলে সরকার গড়ল এবং কংগ্রেস তাদের সমর্থন দিলো বাইরে থেকে৷ এই ফেডারেল ফ্রন্ট সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে জোর তৎপরতা চালিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও প্রমুখ৷ তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের প্রধান স্টালিন কিন্তু এই জোটে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেননি৷

কিন্তু বড় প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে৷ আঞ্চলিক দলগুলির মহাজোটের প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? চন্দ্র শেখর রাও দক্ষিণী রাজ্যগুলির কাউকে প্রধানমন্ত্রী করার ইঙ্গিতও দিয়ে এসেছেন৷ এমনটাই শোনা যাচ্ছে৷ কিন্তু সবথেকে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে (৮০টি আসন) প্রধান দুই দল দলিত নেত্রী মায়াবতীর বিএসপি (বহুজন সমাজ পার্টি) এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির জোট এখন পর্যন্ত একটু তফাতে থাকতেই পছন্দ করছে৷ কারণ, মায়াবতী মনে করেন, তিনিই ফেডারেল ফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবার উপযুক্ত প্রার্থী৷

এসএইচ-২৮/১৫/১৯ (অান্তর্জাতিক ডেস্ক)