পাকিস্তানে চীনাদের বিয়ের ফাঁদ

পাকিস্তানি দুই যুবতীকে বিয়ে করেছিলেন চীনা দুই নাগরিক। দাবি করেছিলেন তারা মুসলিম হয়েছেন। নানা প্রলোভনে ওই দুই যুবতীকে বিয়ে করার পর তারা বুঝতে পারেন, তাদের স্বামীরা লাহোরে দেহ ব্যবসা পেতেছে। এটা জানতে পারার পরই তারা স্বামীদের কাছ থেকে পালিয়েছেন। ওই দুই যুবতীর বাড়ি কোট মোমিনে।

তারা দাবি করেছেন, তাদের বিয়ে করে ওই দুই চীনা নাগরিক চীনে পাচার করার চেষ্টাও করছিলেন। চীনা ওই দুই নাগরিক যে লাহোরে শুধু দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এমনই নয়। পাশাপাশি এতে পাকিস্তানি মেয়েদের টেনে নেয়ার জন্য সাজাচ্ছেন বিয়ের নাটক।

এতে বলা হয়, কোট মোমিন এলাকার দুই যুবতী সামিনা ও তাসায়ুর বিবি। তারা মিডিয়াকে বলেছেন, গরিব পরিবারের মানুষ তারা। তাদের পরিবারের সদস্যরা চীনা পুরুষদের কাছে বিয়ে দেন। ওই চীনারা তাদের পিতা-মাতাকে নিশ্চয়তা দেয় যে, তাদের মেয়েকে লাহোর নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করবেন তারা।

কিন্তু সামিনা ও তাসায়ুর বিবি বলেন, তারা এক পর্যায়ে টের পান যে ওই চীনা নাগরিকরা মুসলিমও নন। সৎও নন। তারা আরো বুঝতে পারেন ওই চীনারা লাহোরে পতিতাবৃত্তি করে অর্থ উপার্জনে ব্যবহার করছে নারীদের। এজন্য তারা লাহোরে ডিএইচএ ফেস-১ নামে একটি বিয়ের ব্যুরো স্থাপন করেছে। এর আড়ালে এমন শয়তানি ফাঁদ পেতেছে তারা।

বিষয়টি বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়েছেন সামিনা ও তাসায়ুর। পাশাপাশি তারা ওই বিয়ে বাতিল করে দেয়ার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। পাঞ্জাবের পুলিশ ইন্সপেক্টরকে অনুরোধ জানিয়েছেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

এসএইচ-২৩/২০/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)