দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানেই রয়েছে, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

ভারতের কুখ্যাত মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে রয়েছে- এমনটাই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। এবার ভারতের দাবিতে সিলমোহর দিয়ে বিশ্বমঞ্চে ইসলামাবাদকে বড়সড় ধাক্কা দিল ওয়াশিংটন।

অন্ধকার জগতের বাদশা দাউদকে নিয়ে জল্পনার যেমন শেষ নেই। তেমনই শেষ নেই তদন্তেরও। বিভিন্ন সংবাদ হাওয়ায় ভাসে তাকে নিয়ে। সম্প্রতি জানা যায়, মারণ রোগে আক্রান্ত এই ডন। হয়তো বেঁচেও নেই। কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে, টেলিফোনের কথোপকথনে স্পষ্ট, শুধু বেঁচে নয়, রমরমিয়ে চলছে ডি কোম্পানি। পাকিস্তান প্রশাসন ও সরকারি মদতে চলছে ডনের কারবার।

ডি-কোম্পানির হর্তাকর্তা দাউদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গি জাবির মোতিওয়ালা প্রত্যর্পণ মামলায় আমেরিকার পক্ষে আইনজীবী জন হার্ডি বলেন, “ডি কোম্পানি নিয়ে তদন্ত করেছে এফবিআই। এর মাথা দাউদ ইব্রাহিম। সে পাকিস্তানেই আস্তানা গেড়ে আছে। ১৯৯৩ সাল থেকে সে এবং তার ভাই ভারত থেকে পলাতক।”

এদিকে, ডন দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারী জাবির মোতির প্রত্যার্পণ মামলায় এবার সাক্ষ্য দেবেন দুই পাকিস্তানী। এই মুহূর্তে লন্ডনে বিচার চলছে তার। পাকিস্তান থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে তারা শুনানিতে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল মোতিওয়ালা। আদালত তার আবেদনে সম্মতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আপাতত মোতিওয়ালার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনেনি আমেরিকা। যদিও হাওয়ালা, মাদক পাচার থেকে শুরু করে একাধিক মামলায় তার প্রত্যর্পণ চাইছে ওয়াশিংটন।

এদিকে, প্রত্যর্পণ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান সরকার। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে সেজন্য জোরালো লবিং করতে মাঠে নেমে পড়েছেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসার ও কূটনীতিকরা। কারণ, দাউদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জাবির মোতিওয়ালার প্রত্যর্পণ ঠেকাতে না পারলে জাবিরকে যদি আমেরিকা হাতে পায় তাহলে অনেক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে।

আইএসআইয়ের মদতেই দাউদের এত বাড়বাড়ন্ত। পাকিস্তানের মদতেই দাউদ বিশ্বজুড়ে মাদক পাচার করে ও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সন্ত্রাস চালায়। এই ‘ওপেন সিক্রেট’ যাতে প্রমাণিত না হয় এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে না আসে সেজন্য মোতিওয়ালার প্রত্যর্পণ রুখে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান।

এসএইচ-২২/০৪/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)