কর্নাটকে কংগ্রেসের সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দিতে কংগ্রেসের ২১ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এই মুহূর্তে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে কর্নাটকের জোট সরকার। সোমবার সকালেই পদত্যাগ করেন কংগ্রেসের সব মন্ত্রীরা। সরকার বাঁচাতেই মন্ত্রীদের এই ইস্তফা বলে সূত্রের খবর।

পদত্যাগ করা কংগ্রেসের মন্ত্রীদের মধ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরও রয়েছেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে দল যদি তাদের পদত্যাগ করতে বলে, সকলেই পদত্যাগ করবেন।

শনিবারেই পদত্যাগ করে ছিলেন কংগ্রেস ও জেডিএস’র মোট ১৩ জন বিধায়ক। তাদের বুঝিয়ে দলে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চলাকালীন আরও একটা ধাক্কা খেলেন কুমারস্বামী। এদিন সকালেই পদত্যাগ করেন রাজ্যেরই এক মন্ত্রী তথা নির্দল বিধায়ক নাগেশ।

সূত্রের খবর, কংগ্রেসের আরও দুই বিধায়কও ইস্তফা দিতে চলেছেন। তাদের মধ্যে কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডির মেয়ে কংগ্রেসের সৌমিয়া রেড্ডি রয়েছেন।

আমেরিকা সফর ছেঁটে রোববারই রাজ্যে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। একের পর এক বিধায়কের পদত্যাগ করায় খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা দলকে টেনে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। রাজ্যে পা দিয়েই রোববারই জেডিএস ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেন সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে।

সূত্রের খবর, কীভাবে ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়কদের দলে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটারও একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয় ওই বৈঠকে। রাতে ফের জোটের নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেন কুমারস্বামী। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সন্তোষজনক ফল বার হয়নি।

‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়করা তাদের সিদ্ধান্ত বদলাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন জোট সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বরা। দেবগৌড়া দলের সমস্ত নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল, সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমার কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গলবার একটা বৈঠক ডেকেছেন তারা। সেখানে সব বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দল বিধায়ক নাগেশের ইস্তফা প্রসঙ্গে শিবকুমার বলেন, চাপে পড়েই ইস্তফা দিয়েছেন নাগেশ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। আমরা তার সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছি।

এদিকে, কংগ্রেস ও জেডিএস’র যে সকল বিধায়ক মুম্বইয়ের হোটেলে উঠেছেন, তাদের উপর কড়া নজরদারিও শুরু হয়ে গিয়েছে। হোটেলের বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে বিধায়কদের। বিজেপি যাতে ঘোড়া কেনাবেচা করতে না পারে জোর কদমে সেই প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন কুমারস্বামী।

রাজ্যে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য বিজেপিকেই বার বার দায়ী করেছে কংগ্রেস-জেডিএস। কিন্তু সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি, এই অস্থিরতার জন্য বিজেপি কোনও ভাবেই দায়ী নয়।

সোমবার সংসদে কর্নাটকের প্রসঙ্গ উঠলে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। কর্নাটকের এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনও ভাবেই জড়িত নয়।

এসএইচ-১৪/০৮/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)