চুক্তি না মানলে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

ইরান যদি পারমাণবিক চুক্তি মেনে না চলে তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নতুন দিকে মোড় নেবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা জেরমি হান্ট এমন কথা বলেছেন। গত দুই মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে এমন কথা বলেছেন তিনি।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার ব্রাসেলসে সেই বৈঠকে পৌঁছানোর পর ইরানের সঙ্গে ছয় পরাশক্তির করা পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক চুক্তি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এটা এখনও মৃত (অকারর্যকর) হয়ে যায়নি।‘ কিন্তু তিনি তেহরানকে হুশিয়ার করে বলেছেন, ‘যদি তারা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে তাহলে ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও তা করবে। যা খুব ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি করবে।’

ইরানের সঙ্গে বিশ্ব পরাশক্তির করা ঐতিহাসিক ওই চুক্তিটি রক্ষায় ইউরোপীয় দেশগুলোর আগ্রহের অংশ হিসেবে তিনি এসব কথা বলেছেন। গত বছর ট্রাম্প ২০১৫ সালের করা ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার ফলে ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা ও তিক্ততা বেড়েই চলছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরমি হান্ট বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে ইরান এখনও অনেকটা সময় পিছিয়ে আছে। আমরা ধারণা করছি, তারা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে কিন্তু এখনও কিছুটা সুযোগ রয়েছে চুক্তিটি জীবিত রাখার।’

জেরমি হান্ট আরও জানান, ইরান ওই চুক্তির সীমা লঙ্ঘন করছে কি না তার তদন্তে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি ‘যথাযথ যৌথ তদন্তের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্প্রতি ইরান ঘোষণা দিয়েছে চুক্তিতে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করছে।

প্রসঙ্গত, ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উদ্যোগে ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে ছয় পরাশক্তির একটি চুক্তি হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইরান তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত একটি বেঁধে দেয়া সীমার মধ্যে রাখবে। বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে বেশির ভাগ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

এসএইচ-২৬/১৫/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)