পাকিস্তানকে ৫০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা!

ইসলামাবাদের ঘাড়ে বিপুল অঙ্কের জরিমানার বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। খননকারী সংস্থার সঙ্গে বেআইনিভাবে খনিচুক্তি বাতিল করায় পাকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে আদালতটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর আগে কোনো দেশকে এত মোটা অঙ্কের জরিমানার নজির ইতিহাসে নেই। এমনিতেই আর্থিকভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। নতুন এই জরিমানা এখন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।

পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনা ও তামার আকরিকের জন্য বিখ্যাত পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের রেকো ডিক এলাকা। ইরান ও আফগানিস্তান সীমান্তের ওই এলাকায় খননকার্য চালাতে বিনিয়োগ করে চিলে ও কানাডার যৌথ সংস্থা টেথিয়ান কপার কোম্পানি।

গত ২০১০ সাল নাগাদ ওই এলাকায় খননকার্যের জন্য প্রচুর ডলার বিনিয়োগ করে সংস্থাটি। কিন্তু, ২০১১ সালে কোনো কারণ না জানিয়েই সংস্থাটির ইজারা নবায়ন আবেদন বাতিল করে দেয় বালুচিস্তান সরকার। ২০১৩ সালে ওই চুক্তি বাতিল বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টও। এরপর, ১১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় সংস্থাটি।

২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংস্থা (আইসিএসআইডি) পাক সরকারের বিপক্ষে রায় দিলেও তখন জরিমানার পরিমাণ নির্ধারিত হয়নি। অবশেষে, বিপুল অঙ্কের এ জরিমানা ঘোষণা করল আন্তর্জাতিক আদালত।

খবরে আরও বলা হয়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে বিপুল অঙ্কের অর্থ সাহায্যের জন্য চুক্তিতে সই করেছে পাকিস্তান। আর এর মধ্যেই সবচেয়ে বড় জরিমানার খবরটি সামনে এল, যা ইসলামাবাদের জন্য বিশাল এক ধাক্কা।

ঘটনার পর অ্যাটর্নি জেনারেলের বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে পাক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঠিক কাদের দোষের কারণে গোটা দেশকে এই বিপর্যয়ের সামনে পড়তে হলো তা জানতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঐতিহাসিক এ জরিমানার খবরে রেকো ডিকের মতো খনিজসম্পদ সমৃদ্ধ এলাকা নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল ইমরান সরকার।

এসএইচ-২২/১৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)