সৌদিতে নারী শ্রমিকদের জন্য নতুন আইন

সৌদি আরবের নারীরা পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না এমন আইনটি সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। নারীর মর্যাদাকে খর্ব করার অভিযোগে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ভর্ৎসনার শিকার সৌদি আরব নারীর জন্য এবার আরও কিছু নিয়ম শিথিল করতে যাচ্ছে।

দেশটির গণমাধ্যম সৌদি গেজেটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌদি শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে সৌদির নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের সমানভাবে বিবেচনা করা হবে।

নারী-পুরুষ শ্রমিক কিংবা কর্মচারী উভয়ই এখন থেকে সমানভাবে বিবেচিত হবে। যাদের অধীনে কিংবা তত্ত্বাবধানে তারা কাজ করবেন তাদেরকে অর্থের বিনিময়ে শ্রম কেনার সময় নারী-পুরুষ আলাদা করা যাবে না। যদি তাদের সঙ্গে দেখা নাও হয় কিংবা না দেখে।

দেশটির শ্রমিকদের জন্য প্রণীত নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী বয়স, অক্ষমতা কিংবা লিঙ্গ ইত্যাদিকে বিবেচনায় নিয়ে মালিকপক্ষের কেউ কোনো শ্রমিকের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারবে ন। কর্মখালি আছে এই মর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মী নিয়োগেরও সময়ও এই নিয়মটি মেনে চলতে হবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে।

এই নিয়ম চালু করা ছাড়াও সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন থেকে আরেকটি নতুন নিয়ম চালু করেছে। নিয়ম অনুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বছর এবং নারীর ক্ষেত্রে সেটি ৫৫ বছর। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদেরকে ইনসুরেন্স এবং নিয়ম মেনে অন্যান্য সুবিধা দেয়া হবে।

আইনে আরও একটি বিষয় জারি করা হয়েছে যে, নারীরা যখন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকবেন তখন তাদের চাকরি বাতিল কিংবা চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে এই মর্মে কোনো ধরনের নোটিশ জারি করা যাবে না। যদি তা করা হয় তাহলে সেটা হবে বেআইনি।

শুধু মাতৃত্বকালীন ছুটি নয় তারা যদি এই সময়ের পরে গর্ভপাত বা সন্তান জন্মদানের সময় এমনভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে যার কারণে তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না কিংবা বিলস্ব হচ্ছে তাহলেও তাদেরকে কোনোভাবে চাকির থেকে বরখাস্ত করা যাবে না।

তবে তারা যে সত্যি অসুস্থ কিংবা চিকিৎসাধীন ছিলেন যার কারনে কাজে যোগ তিদতে পারেননি সেই বিষয়ের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিষয়টির সত্যায়িত অনুমোদন লাগবে। মানে অসুস্থ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।

এসএইচ-২১/০৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)