যৌন নির্যাতনের তথ্য গোপন করলেই সৌদি কারাগার থেকে মুক্তি

সৌদি আরবে কারাবন্দী অধিকার কর্মী লুযেইন আল হাথলুলের পরিবার অভিযোগ করছে যে, আটক অবস্থায় নির্যাতন করা হয়নি, এমন বক্তব্য দিলে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।

রাষ্ট্র বিরোধী অপশক্তির সাথে তিনি ষড়যন্ত্র করেছেন – এমন অভিযোগে এই বছরের মার্চে লুযেইন আল হাথলুলকে আরও নয়জন অধিকার কর্মীসহ গ্রেফতার করা হয়।

সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার আদায়ে লুযেইন আল হাথলুলের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

ব্রাসেলসে বসবাসকারী তার বোন লীনা আল হাথলুল মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, লুযেইনকে একটা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাকে নির্যাতনের এই বিষয়টি তিনি যদি অস্বীকার করেন তবে তাকে মুক্তি দেয়া হবে। লুযেইনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

তার পরিবার এর আগেও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে। যা সৌদি সরকার প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

হাথলুল সৌদি আরবে নারী অধিকার বিষয়ে পরিচিত একটি মুখ। ২০১৪ সালে তিনি প্রথম পরিচিতি পান। সেসময়ে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সীমান্ত দিয়ে তিনি গাড়ি চালিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন।

এই বছরের জুন মাসে সৌদি আরব গাড়ি চালানোর ব্যাপারে নারীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। সৌদি নারীদের ‘পুরুষ অভিভাবক’ সম্পর্কিত একটি আইনও এই মাসে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। সে আইন অনুযায়ী একজন নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো পুরুষ আত্মীয়, অর্থাৎ বাবা, ভাই, স্বামী ও ছেলের অনুমোদন প্রয়োজন হতো।

এগুলো পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনে যাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল তাদের মধ্যে বেশিভাগ এখনো কারাগারে আটক রয়েছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী কারাগারে তাদের বিদ্যুতের শক, চাবুক দিয়ে পেটানো ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

এসএইচ-১১/১৪/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)