হজযাত্রীদের বিপদে ফেলবে সৌদির তীব্র গরম

পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে সারাবিশ্বেই। পরিবেশবিদরা বার বার এ বিষয়ে সতর্ক করলেও এ বিষয়ে যেসব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। এদিকে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি সৌদি আরবেও গরমের তীব্রতা বাড়ছে।

আগামী বছর গুলোতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এতে বিপদে পড়তে পারেন সেখানে যাওয়া হজযাত্রীরা। কারণ হজে কয়েক লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে জড়ো হন। আর তীব্র গরমে এক সঙ্গে এত লোকের সমাগম ঘটলে তা হাজীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হজ। জীবনে অনন্ত একবার প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমকেই হজ পালন করতে হয়। বিশ্বের কয়েক কোটি মুসলিমের কাছে হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

গবেষকরা বলছেন, যেভাবে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে তাতে আগামী বছরগুলোতে তা হজযাত্রীদের জীবনকে ঝঁকির মুখে ফেলতে পারে। কারণ হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য তাদেরকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ঘন্টা বাইরেই অবস্থান করতে হয়। এতে রোদ আর তাপমাত্রায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে এভাবে অসুস্থ হয়ে হজযাত্রীদের মৃত্যুও হয়।

এর আগে ১৯৯০ সালে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪শ ৬২ জন এবং ২০১৫ সালে ৭৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ৯৩৪ জন। ওই দুই বছরই তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল।

ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্ধারণ করে দিতে হবে যে, কতজন হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

প্রতি বছর হজের সময়ে কিছুটা তারতম্য দেখা দেয়। তবে ২০৪৭, ২০৫২ এবং ২০৭৯ থেকে ২০৮৬ সালে সবচেয়ে গরমের মধ্যেই হজ অনুষ্ঠিত হবে। যার কারণে ওই বছর গুলোতে হজযাত্রীদের অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক বেশি গরম সহ্য করতে হবে।

এমআইটির অধ্যাপক এলফাতিহ এলতাহির বলেন, যদি আপনি কোনো জনসমাগমে জড়ো হন আর তাপমাত্রাও বেশি হয় তবে সেই জনসমাগম থেকে যে কোনো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হয়। চলতি বছর সৌদির ছয় লাখ বাসিন্দার সঙ্গে ১৮০টি দেশের প্রায় ২০ লাখ হজযাত্রী হজ পালন করেছেন।

এসএইচ-২২/২৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)