কেউ যেন রাষ্ট্রহীন না হয়, ভারতকে জাতিসংঘ

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন। বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ মানুষ, যাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত।

আসামের এনআরসি ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ভারত সরকারকে এক প্রকার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ফিলিপো গ্রান্ডি ভারত সরকারকে নিশ্চিত করতে বলছেন, যাতে কোনোভাবেই কোনো নাগরিক রাষ্ট্রহীন না হয়ে পড়ে।

ফিলিপো গ্রান্ডি রোববার ভারতের এনআরসিতে ১৯ লাখ মানুষের বাদ পড়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। জেনেভা থেকেই একটি বিবৃতি জারি করেছেন তিনি। তাতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো প্রক্রিয়া, যাতে অনেক মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে যেতে পারে, বিশ্বকে উদ্বাস্তশূন্য করার জাতিসংঘের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করবে।’

গ্র্যান্ডি বলেন, ভারত সরকারের উচিত কোনো নাগরিকই যে রাষ্ট্রহীন না হয়ে যায় সেটা নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের উপযুক্ত আইনি পরিষেবা দিতে হবে। সরকারকে আইনি সহায়তা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে, এরা সর্বোচ্চ শ্রেণির পরিষেবা পাচ্ছে।”

আসলে, গোটা বিশ্বেই উদ্বাস্তু সমস্যা মেটাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিতড়নের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উদ্বাস্তু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জাতিসংঘ উদ্বাস্তু পরিষদ নিশ্চিত করতে চাইছে, যারা ভারতের এনআরসি থেকে বাদ পড়ছেন, তারা যেন রাষ্ট্রহীন না হয়ে যান।

কারণ, বাংলাদেশ আগেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতে এনআরসি থেকে বাদ পড়া কেউ বাংলাদেশি নয়। তাই, তাদের পুনর্বাসনের কোনো দায়ও বাংলাদেশ সরকারের নেই। সেক্ষেত্রে, যে বা যারা এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়বে, তারা প্রত্যেকেই উদ্বাস্তুর মর্যাদা পাবে।

এসএইচ-২১/০২/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)