যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা চীনের!

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র একাধিপত্যবাদী নীতি গ্রহণ করেছে এবং এর মাধ্যমে তারা সারাবিশ্বের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে বলে অভিযোগ চীনের। এছাড়া, বাণিজ্য যুদ্ধসহ একাধিক ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে।

এই পরিস্থিতিতে দুই দেশই একে অন্যের পণ্য আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক বসিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। এবার তা মামলা পর্যন্ত গড়াল। চীনের পণ্যে আরেক দফা ট্যারিফ বসানোয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে চীন।

সোমবার চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী মামলার কারণ হিসেবে জানান, গত জুনে জি-২০ সম্মেলনের সময় জাপানের ওসাকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনা পণ্যের ওপর আর শুল্ক না বসানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। নতুন শুল্কারোপের ফলে তা চরমভাবে লঙ্ঘন হয়েছে। তবে ট্যারিফ ইস্যুতে বিভিন্ন সময় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বেইজিং।

সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এই মামলার মাধ্যমে চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতি তাদের সমর্থনের বার্তা পাঠাচ্ছে। এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে দেশ দুটি একে অন্যকে ছাড় দিতে হবে, নইলে এই বিরোধ সামরিক সংঘাতের রূপ নিতে পারে। মাহাথির সম্প্রতি টোকিও নগরীতে ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক জাপানভিত্তিক বাণিজ্য সাময়িকী ‘নিক্কি’।

চীনা কোম্পানি ‘হুয়াওয়ে’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কুপিত হওয়ার প্রসঙ্গে মাহাথির বলেন, একদা জোরদার গবেষণা ও উন্নয়ন সক্ষমতা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের করায়ত্ত। এখন সেই সক্ষমতা প্রাচ্য অর্জন করেছে- এই ‘বাস্তবতা’ ওয়াশিংটনকে মেনে নিতে হবে। মাহাথির বলেন, ‘আমি সামনে থাকতে না পারলে, আমি তোমায় নিষিদ্ধ করব, যুদ্ধজাহাজ পাঠাব’ মনোভঙ্গি তো প্রতিযোগিতা নয়- এটা হচ্ছে হুমকি।

এসএইচ-১১/০৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)