কী ছিল খাশোগির শেষ কথা?

ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শেষ মুহূর্তের রেকর্ডকৃত অডিও’র কথপোকথন প্রকাশ করেছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম।

ডেইলি সাবাহ’র প্রকাশ করা প্রতিবেদনে ওই হত্যাকাণ্ডের আগ-মুহূর্তে খাশোগি ও খুনিদের মধ্যকার কথোপকথনে নানান বিষয়ে উঠে এসেছে।

কনস্যুলেটে খাশোগির প্রবেশের সময় তাকে এক পরিচিত কর্মকর্তা তাকে অভিবাদন জানান। পরে টেনে তাকে একটি রুমের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

সৌদি আরবের গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও যুবরাজ সালমানের দেহরক্ষী মাহের আব্দুল আজিজ মুদরিব বিদেশে নির্বাসনে থাকা এই সাংবাদিককে বলেন, ‘অনুগ্রহ করে বসুন। আপনাকে আমাদের সৌদি আরবে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ইন্টারপোলের নির্দেশ আছে। আমরা আপনাকে নিয়ে যেতে এখানে এসেছি।’

খাশোগি জবাবে বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। আর আমার বাগদত্তা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।’

খাশোগিকে হত্যার ১০ মিনিট আগে মুদরিব তাকে অনুরোধ করেছিলেন, ‘তার ছেলেকে চলে যাওয়ার জন্য বার্তা পাঠাতে।’ তাকে আরও লিখতে বলা হয়, যদি তিনি (খাশোগি) না পৌঁছান তাহলে উদ্বিগ্ন না হতে।

খাশোগি বলেন, ‘না, আমি ওকে কিছুই বলবো না।’ এতে মুদরিব বলেন, ‘এটা লিখুন, জনাব জামাল। দ্রুত করুন। আমাদের সহায়তা করুন তাহলে আমরাও আপনাকে সহায়তা করবো। কারণ, শেষমেষ আপনাকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো আমরা। যদি সহায়তা না করেন তাহলে আপনি জানেন ঘটনাটা কী ঘটবে।’

কর্মকর্তারা তখন সৌদি সাংবাদিকের ওপর ড্রাগ প্রয়োগ করে। জ্ঞান হারানোর আগে তার শেষ কথা ছিল, ‘আমার অ্যাজমা আছে। তোমরা আমার মুখটা ঢেকো না। (আমি) শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাবো। এটা করো না।’

শেষ ওই কথা থেকে ধারণা করা যায়, ড্রাগ প্রয়োগের আগে তার মুখে ঢেকে ফেলেছিলো খুনিরা। খাশোগি তখনো বুঝতে পারেননি তাকে আসলে হত্যার জন্যই এগুচ্ছে তার দেশেরই সরকারি কর্মকর্তারা।

এসএইচ-১৫/১১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)