মমতার ওপর হামলা, অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস

প্রায় তিন দশক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে নৃশংস হামলার দায়ে অভিযুক্ত লালু আলমকে বৃহস্পতিবার বেকসুর খালাস দিয়েছেন দেশটির এক আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে তিনি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় খালাস পেলেন তিনি।

আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক পুষ্পল সতপথির কাছ অভিযুক্তের আইনজীবী আবেদন করেন। দীর্ঘসময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আদালত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। গত তিন দশকে অনেকে সাক্ষীর মৃত্যুও হয়েছে।

সরকার পক্ষের আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে মামলা বন্ধ করে দেয়া হোক এমন দাবি করেছিলেন ওই আইনজীবী। তার কথা শুনে আদালত মনে করে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে লালুকে বেকসুর খালাস করে দেয়া যেতে পারে।

গত ২১ আগস্ট বিচারক সতপথি মামলার সাক্ষীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে গত মাসে সাক্ষী দেয়ার জন্য হাজির হতে বলে আদালত। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে আদালতে উপস্থিত হননি মমতা। ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থাও করা যায়নি বলে আইনজীবী রাধাকান্ত জানান।

১৯৯০ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন কংগ্রেসের যুব নেত্রী মমতার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে দুষ্কৃতিকারীরা। হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান মমতা। বেশ কিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। তখন সিপিআইএম নেতা বাদশাহ আলমের ভাই লালু আলমকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।

সরকার পক্ষের আইনজীবী কান্ত মুখোপাধ্যায় বিচারককে বলেন, ত্রিশ বছরে পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও কোনও পরিণতির দিকে এগোনো যায়নি। তিনি বিচারকের কাছে আবেদন জানান, এমন পরিস্থিতিতে এই মামলার ডিসমিশ করা যেতে পারে।

প্রধান অভিযুক্ত লালু আলম এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন, তিনি এই মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকলেও বাকি ১১ অভিযুক্তের কেউ মারা গেছেন অনেকের কোনো খোঁজ নেই। সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলা চলতে থাকলে কিছু মানুষকে অযথা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে। নিরাপত্তাজনিত কারণে মমতার উপস্থিত হওয়ায় সমস্যা থাকায় ঠিক হয় ভিডিও কনফারেন্সে মমতার সাক্ষ্য নেয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে ব্যবস্থাও করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, মামলার প্রধান সাক্ষীদের অনেকেই আজ জীবিত নেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অনিল মুখোপাধ্যায় এবং সাবেক তিন কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বিশ্বাস, দিলীপ মজুমদার ও অনুপ চট্টোপাধ্যায়।

এসএইচ-১৫/১৩/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)