ভারতের সাথে দ্বন্দ্বে না জড়ানোর অনুরোধকে পাত্তা দেয়নি পাকিস্তান

ভারতের সাথে দ্বন্দ্বে না জড়াতে বিভিন্ন শক্তিশালী দেশ অনুরোধ করেছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তার মধ্যে কয়েকটি মুসলিম দেশও ছিল। কিন্তু ইমরান খান তাদের কারো অনুরোধকেই পাত্তা দেননি। তাকে আরও বলা হয়েছিল, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ‘ব্যাকডোর ডিপ্লোম্যাসি’ অর্থাৎ পিছনের দরজা দিয়ে কূটনীতির আশ্রয় নিন। তাতেও আপত্তি জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদপত্রে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে এই খবর।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদপত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি অফিসারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইমরান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, তারা ভারতের সঙ্গে একমাত্র প্রথামাফিক কূটনীতিতেই রাজি। কিন্তু তার আগে ভারতকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে কার্ফু তুলে নিতে হবে। অন্যান্য যে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, তাও তুলে নিতে হবে।

গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারত সরকার। জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। তখন থেকেই বিক্ষোভ থামানোর জন্য নানা কড়াকড়ি করা হতে থাকে কাশ্মীরে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, সৌদি আরবের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল অল জুবেইর এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লা বিন অল নাহাইন একসঙ্গে গত ৩ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে এসেছিলেন। তারা বলেন, কয়েকটি শক্তিশালী দেশ চায়, পিছনের দরজা দিয়ে, অর্থাৎ গোপনে ভারতের সঙ্গে কূটনীতি চালু করুক পাকিস্তান। একদিনের সফরে তারা ইমরান বাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাওয়েজার সঙ্গে দেখা করেন।

সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, এই মিটিং ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন খুব উচ্চপদস্থ অফিসার বাদে কেউই ওই বৈঠকের কথা জানতেন না। বৈঠকে অল জুবেইর এবং অল নাহাইন বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে তারা নির্দিষ্ট ভূমিকা নিতে রাজি।

তারা ভারত সরকারকে অনুরোধ করবেন যেন কাশ্মীর থেকে কিছু কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হয়। তবে একইসঙ্গে ইমরানকেও প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, তিনি আর অত চড়া ভাষায় মোদিকে আক্রমণ করবেন না। কিন্তু ইমরান সে পরমর্শকে পাত্তাই দেননি।

এসএইচ-১৯/১৭/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)