সীমান্তে উত্তেজনা, পাকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব

কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান সীমানা বিভাজনকারী রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) উভয় দেশের মধ্যে গোলাবর্ষণে সেনা সদস্যসহ ভারতের ৯ জন ও পাকিস্তানের ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ ঘটনায় ইসলামাদে নিযুক্ত ভারতীয় উপ-রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পাকিস্তান।

উভয় পক্ষের গোলাবর্ষণের পর উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষিতে দেশ দুটির কূটনৈতিক সম্পর্কেও তার ছাপ পড়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় উপ-রাষ্ট্রদূত গৌরব আহলুওয়ালিয়াকে ডেকে পাঠায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানের হামলায় তাদের দুজন সেনা নিহত হওয়ার পর তারা শনিবার রাতে পাকিস্তানের নীলম উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি জঙ্গিঘাঁটি (লঞ্চপ্যাড) ধ্বংস করেছে। এ ঘটনায় পাকিস্তানের ৭ থেকে ১০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি দেশটির।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের এক সেনা শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই সেনা। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ভারতের গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের কমপক্ষে ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

চলতি বছর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গোলাবর্ষণে একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা। পাকিস্তান বলছে, জুরা, শাহকোট ও নওশেরি সেক্টরে বিনা উসকানিতে ভারতের গোলাবর্ষণের জবাব দিয়েছে তারা। এতে ভারতের ৯ সেনা নিহত হয়েছেন। ভারত বলছে, তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত জানান, ‘গতকাল রাতে টংধর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। আমরা বাধা দেই। তারপর আমাদের লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান। তাতে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ভারতে ঢুকতে পারেনি জঙ্গিরা।’

উভয় পক্ষই বিনা প্ররোচনায় অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে গোলা বর্ষণের অভিযোগ তুলেছে একে অন্যের বিরুদ্ধে। গত বুধবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সহিংসতার ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন। ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

এসএইচ-১১/২০/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)