ব্যভিচারের দায়ে থাই রাজার দুই নারী দেহরক্ষী বরখাস্ত

থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তার চার দেহরক্ষীকে বরখাস্ত করেছেন। তাদের মধ্যে দুজন নারী দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নানা সময়ে ব্যভিচারে (স্বীকৃতিবিহীন যৌন সম্পর্ক) লিপ্ত ছিলেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজকীয় এক ঘোষণায় এ খভবর জানানো হয়।

রাজকীয় ঘোষণায় বলা হয়, রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন তার নিরাপত্তা বিভাগের ‘শয়ন কক্ষ শাখা’ থেকে দুই নারী দেহরক্ষীকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তারা অবৈধ ও ব্যভিচারমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে।

রাজকীয় ওই ঘোষণায় আরও জানানো হয়, রাজপরিবারের নিরাপত্তা রক্ষার কাজে ব্যর্থ হওয়ায় ওই দুজন ছাড়াও আর দুজন দেহরক্ষীকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

রানির সমমর্যাদা দাবি করায় সম্প্রতি রাজকীয় উপাধি এবং সামরিক পদমর্যাদা পাওয়া এক নারী দেহরক্ষীর সব পদবি কেড়ে নেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন। নতুন করে যে দুজন নারী দেহরক্ষীকে বরখাস্ত করা হলো তারা উভয় লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পদমর্যাদার।

থাই রাজার জারি করা ঘোষণায় বরখাস্ত ওই দুই নারী দেহরক্ষীকে ‘চরম মাত্রার শয়তানি আচরণ’ করার অভিযোগ তুলে বলা হয়, ‘তারা ব্যাভিচারসহ খুবই অগ্রহণযোগ্য অপরাধ করেছে। আর এর মাধ্যমে তারা এই পদে থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে।’

২০১৬ সালের অক্টোবরে মহা ভাজিরালংকর্নের বাবা রাজা ভুমিবল আদুলাদেজ মারা যান। বাবার মৃত্যুর ৫০ দিন পর নতুন রাজা হিসেবে ওই সময়ের যুবরাজ মহা ভাজিরালংকর্নের নাম ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করেন।

এসএইচ-২৩/৩১/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)