ধর্মনিরপেক্ষ থাকছে নেপাল, হিন্দু রাষ্ট্রের প্রস্তাব বাতিল

সোমবার নেপালের গণপরিষদ দেশটির হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয়ের একটি প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছে। প্রস্তাবটি এনেছিল হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিরোধী দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। এজন্যে সংবিধান সংশোধনী এক প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের জোর সমর্থনে বাতিল হয়ে গেলে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবেই থাকছে নেপাল। বিশ্বের একসময়কার একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নেপাল ২০০৮ সালে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করে। দেশটিতে নতুন একটি সংবিধান রচনার কাজ করছে গণপরিষদ।

গণপরিষদের ৬০১ জন সদস্য নেপালের নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ করছেন। রাজতন্ত্রের সমর্থক রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি-নেপাল এর চেয়ারম্যান কামাল থাপা এবং রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির অমরিত বোহোরা সংবিধানে নেপালকে ধর্মনিরপক্ষ থেকে ফের হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার দাবি জানান।

কিন্তু গণপরিষদের চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র নেমবাং ওই প্রস্তাব বাতিল করার পর ভোটের দাবি তোলেন কামাল থাপা। এ বিষয়ে গণপরিষদের ৬০১ সদস্যের মত জানতে চাওয়া হলে মাত্র ২১ জন ভোটের পক্ষে মত দেন। গণপরিষদের বিধি অনুযায়ী, কোনো প্রস্তাবে ভোট নিতে হলে অন্তত ৬১ সদস্যের অনুমতি প্রয়োজন হয়।

২০০৬ সালে নেপালের জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের ফলে এর পরের বছর নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। গত সপ্তাহে একদল হিন্দু আন্দোলনকর্মী নেপালকে পুনরায় হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেয়ার দাবি তুলে দেশটির রাজধানী নেপালের বানেশ্বর এলাকায় হলুদ ও জাফরান রংয়ের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভকারীরা নেপালের সংসদে প্রবেশের চেষ্টা চালালে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। বিক্ষোভকারীরা এসময় যানবাহন ভাংচুর করে। এরপর গত রোববার গণপরিষদে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ওই প্রস্তাব আনা হয়। হিন্দু রাষ্ট্রের সমর্থনে নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো দেশটিকে সাতটি প্রদেশে বিভক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

এসএইচ-১২/১৫/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)