পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিশেষ আদালতে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় লাহোর হাইকোর্টে বাতিল হয়ে গেছে।

সোমবার পারভেজ মোশাররফের এক আবেদনের শুনানি শেষে তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল জানায়, যেভাবে ওই মামলা করা হয়েছে, তাও আইনসম্মত হয়নি।

রায়ে লাহোর হাইকোর্ট বলেছে, পারভেজ মোশাররফের বিচারের জন্য যে প্রক্রিয়ায় ওই বিশেষ আদালত গঠন করা হয়েছিল, তা সংবিধানসম্মত হয়নি।

রায়ের পর এক প্রসিকিউটর বলেন, মৃত্যদণ্ড বাতিলের নির্দেশের অর্থ জেনারেল মোশাররফ এখন ‘একজন স্বাধীন মানুষ’।

সরকারি প্রসিকিউটর ইশতিয়াক এ. খান বলেন, অভিযোগ দায়ের, আদালতের নিয়ম-নীতি, প্রসিকিউশন টিম নির্বাচন, এসবই অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। এর মানে সম্পূর্ণ রায়ই বাতিল হয়ে গেছে।

গত ১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত দেশটির পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এই মামলার রায় আদালতে ঝুলে ছিল। সংবিধান লঙ্ঘন করে জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে ওই বছর মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। ৭৪ বছর বয়সী মোশাররফ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০১৬ সালের মার্চে চিকিৎসার জন্য দুবাই যান সাবেক এ সেনাপ্রধান। এখনো তিনি দুবাই রয়েছেন।

রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে সাবেক এই পাক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে।

এসএইচ-১৭/১৩/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)