ইরাকি দুই সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা

ইরাকের এক সাংবাদিক ও তার ক্যামেরাম্যানকে তাদের গাড়ির ভেতরেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই একজন এবং হাসপাতালে নেয়ার পর অপরজনের মৃত্যু হয়। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলছে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে রিপোর্ট করার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বাসরায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। হত্যার শিকার ওই দুই সাংবাদিক হলেন ইরাকের টেলিভিশন চ্যানেল দিলজা’র প্রতিবেদক আহমেন আবদেল সামাদ ও তার সহযোগী ক্যামেরাম্যান সাফা ঘালি।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, শুক্রবার বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আবদেল সামাদ দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভেকারীদের ওপর নৃশংস দমনাভিযান চালাচ্ছেন।

দিলজা টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাথার ডানদিকে বুলেটের ক্ষতস্থান নিয়ে গাড়ির ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছেন আবদেল সামাদ। গোটা গাড়িতে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন। বন্দুকধারীর গুলিতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া ক্যামেরাম্যান ঘালি পরে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান।

মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত করা, সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং কোনো রকম প্রতিশোধ না নেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে যেকোনো ধরনের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার সুযোগ তৈরির দায়বদ্ধতা ইরাক সরকারের।

শুক্রবারের ওই দুই সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার শত শত মানুষ সড়কে নেমে তাদের শোক ও প্রতিক্রিয়া জানায়। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর থেকে ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি, হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার মানুষ।

এসএইচ-২১/১৩/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)